লেবাননে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০ বার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েল তাদের হামলা আরও জোরদার করেছে। লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক হামলার খবর সামনে আসছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
এখন পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল পূর্ব বেকা উপত্যকা, বৈরুতের শহরতলী এবং দক্ষিণাঞ্চল। এদিকে ইসরায়েলের হামলার জবাবে হিজবুল্লাহও পাল্টা হামলা করেছে। তবে এসব হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
লেবাননে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থলপথে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তার মধ্যেই দক্ষিণ লেবাননের ২৫টি শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে দখলদার দেশটি।
এসব শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে উত্তর দিকে চলে যেতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
Advertisement
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলার মধ্যেই সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ২৫টি শহরের বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যাওয়ার আদেশ জারি করে। ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই এই আদেশ দেন।
খালি করতে বলা শহরের তালিকার মধ্যে রয়েছে- বোরঘোলিয়েহ, কাসমিয়েহ, নবী কাসিম, আল-মাতারিয়াহ, খারায়েব, মাজরাত কাউথারিয়েত এল রেজ, আনসার, বাবলিয়াহ, দেইর তাকলা, আদলউন এবং আনসারিয়েহ।
এছাড়াও মেরুয়ানিয়েহ, জেফতা, বাফারুয়েহ, হাব্বাউচ, নাবাতিহ, সেজউদ, জবা, আনকউন, বানাফউল, কেননারিত, জেইতা, আরনায়া, মাজরাত মাতারিয়েত জবা এবং তানবোরিত শহরগুলোও এই তালিকায় রয়েছে। আদ্রাই বলেছেন, ‘উপযুক্ত পরিস্থিতিতে’ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই শহরের বাসিন্দাদের ফিরে আসার অনুমতি দেবে।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননের কয়েক ডজন শহর থেকে মানুষজনকে সরে যাওয়ার আদেশ জারি করেছিল। পরে তেল আবিব সেসব ওই এলাকায় বিমান ও স্থল হামলা চালায়।
Advertisement
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার নামে লেবাননজুড়ে বিশাল বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৪৮৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ৪ হাজার ২৯৭ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
টিটিএন