বর্তমান সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কর্মসংস্থান অধিদপ্তর গঠনের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা একথা বলেন। সচিবালয়ের সংবাদ কাভার করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘নাম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কিন্তু কর্মসংস্থানের কোনো কিছু নেই। আমরা একটা কর্মসংস্থান অধিদপ্তর করার কথা ভাবছি।’
শ্রমিকদের শ্রমবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
উপদেষ্টা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নামে কর্মসংস্থান (শ্রম ও কর্মসংস্থান) আছে, কিন্তু কোথাও কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করার কোনা কিছু নেই। এত বছরের এই মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে কর্মসংস্থান নিয়ে একটা কাজও এই মন্ত্রণালয় করেনি। কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করার একটা অধিদপ্তরও নেই। কোনো স্ট্রাকচারও নেই, যেখান থেকে আমরা কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করবো। কিছু পেলে হয়তো সেখান থেকে কাজ করা সহজ হতো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা কর্মসংস্থান অধিদপ্তর করার কথা ভাবছি। এই পৃথিবীর বর্তমান বাস্তবতায় কোনো ধরনের কর্মসংস্থানের দিকে আমরা যাবো, বাংলাদেশের যুবকদের আমরা ড্রাইভ করবো সেটার জন্য একটা আউটলাইন প্রস্তুত করার জন্য আমরা কাজ করছি। কর্মসংস্থান অধিদপ্তর কী নিয়ে কাজ করবে, কীভাবে কাজ করবে? কীভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, কীভাবে ব্যবস্থাপনা করবে?’
‘সেই আউটলাইনটা রেডি হলে আমরা কর্মসংস্থান অধিদপ্তরের ঘোষণাটা দিয়ে কার্যক্রম শুরু করবো। এটা যদি আগের থেকে থাকতো, তবে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হতো।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সর্বশেষ আজকের তথ্য অনুযায়ী কোথাও শ্রমিক অসন্তোষ নেই। এটা যদি এক মাস আগে দেখি তখন খুব খারাপ অবস্থা ছিল। আমরা সেই বিষয়গুলো অ্যাড্রেস করছি এবং বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্র কতটা শ্রমিকবান্ধব করা সম্ভব, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
Advertisement
উপদেষ্টা আরও বলেন, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর ১৪ নাকি ১৬ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট ছিল পোশাক খাত, এখন ৪২ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট। এখন আমাদের আরেকটি ইনভেস্ট করার সময়, সেটা আমরা করবো।
বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরএমএম/এসএনআর/জেআইএম