নটর ডেম কলেজে এবারের পাশের হার ৯৯.৯৪ শতাংশ। বেড়েছে জিপিএ-৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬১৮ জন শিক্ষার্থী। এবারের ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।
Advertisement
অভিভাবকরা জানান, তাদের সন্তানেরা শিক্ষকদের তত্ত্বাবধায়নে পড়ার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছেন। শিক্ষকরাও ছিলেন আন্তরিক। সব মিলে উভয়ের পরিশ্রমে ভালো ফলাফল সম্ভব হয়েছে।
নিজ সন্তানের সঙ্গে আব্দুল্লাহ নামে এক অভিভাবক এসেছেন নটরডেম ক্যাম্পাসে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কেরানীগঞ্জে নিজের বাসা থাকলেও ছেলের লেখাপড়ার সুবিধার্থে কলেজের কাছাকাছি বাসা ভাড়া নিয়ে আছি। আমি চেয়েছিলাম ছেলেরা মানুষ হোক। আজ পরীক্ষার রেজাল্ট অনলাইনে আগেই পেয়েছিলাম। তার (ছেলে) বন্ধুদের ফলাফলও ভালো। তাই সবার সঙ্গে দেখা করতে এলাম, তাদের আনন্দও দেখতে এলাম।
জিপিএ-৫ পাওয়া মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই শ্রদ্ধেয় শিক্ষদের। তারা নিজের সন্তানের মতো স্নেহ করেছেন, পড়িয়েছেন। আমার মা-বাবাকে সন্তুষ্ট করতে পেরে ভালো লাগছে। এবার প্রথম লক্ষ্য মেডিকেলে পড়াশোনা।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) কলেজ সূত্র জানায়, নটরডেম কলেজে এবারের পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ হাজার ২৬৯জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩ হাজার ২৬৩ জন শিক্ষার্থী। আর পাস করেছেন ৩ হাজার ২৬১ জন। পাশের হার ৯৯.৯৪ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন দুই হাজার ৬১৮জন। বিগত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন দুই হাজার ৫২০ জন এবং পাশের হার ছিল ৯৯.৫৬ শতাংশ। সে হিসাবে এবার পাশের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ৯৮জন জিপিএ-৫ বেড়েছে।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবার কলেজটির বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ২ হাজার ৯৭জন পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৪০জন, আর অকৃতকার্য হয়েছেন ৬ জন। বাণিজ্য বিভাগে পান করেছেন ৭৫২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছেন ২জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৭৬ জন। মানবিক বিভাগ থেকে পাশ করেছেন ৪১২জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০২ জন।
এদিকে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। যেখানে থাকছে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। সরকারপ্রধান বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাও ফলাফল প্রকাশের কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। সব প্রথা বা রীতি ভেঙে স্ব স্ব বোর্ড চেয়ারম্যানরা ফল ঘোষণা করবেন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী-৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
Advertisement
সূচি অনুযায়ী-মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করা হয়। এতে কারও পাঁচ বিষয়, আবার কারও ছয় বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। সেগুলোতে এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে। আর যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করে নম্বর ও গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ হবে।
ইএআর/এমআইএইচএস/জেআইএম