বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে রংপুরে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত রাত তিনটায় নগরীর মেডিকেল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিক্ষুব্ধরা। মিছিলটি মেডিকেল মোড় থেকে শহীদ মুখতার ইলাহী চত্বর, চেকপোস্ট হয়ে আবারো মেডিকেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়৷
এ সময় তারা ‘স্বৈরাচারের দোসরেরা হুশিয়ার সাবধান,’, ‘দালালের ঠিকানা এই রংপুরে হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘সারজিস-হাসনাতের অপমান মানবে না রংপুরের জনগণ’, ‘২৪’র বিপ্লবীদের অপমান মানবে না জনগণ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের প্রতিনিধি ইমরান আহমেদ, ডা. জামিল আহমেদ, ইমতিয়াজ ইমতি, মোতাওক্কিল বিল্লাহ প্রমুখ।
Advertisement
এ সময় বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমা চাইতে হবে, বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। নয়তো ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তারা বলেন, রংপুর কারো একার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই রংপুর আমার, আপনার, সকলের। ছাত্র-জনতার মুক্তির লড়াই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান। অসংখ্য প্ৰাণ আর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যাওয়া সবার মুক্তির প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহরা চব্বিশ বিপ্লবের নায়ক। তাদের অবাঞ্ছিত করার এখতিয়ার জাতীয় পার্টির নেই।
সোমবার সন্ধ্যার পর জাতীয় পার্টির একটি কর্মী সভায় রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসানাত আব্দুল্লাহকে রংপুরে ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন। জাতীয় পার্টিকে সংলাপে না ডাকার বিষয়ে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যের জেরে এমন ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির এই নেতা। তার এমন বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের পরপরই নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷
জিতু কবীর/এফএ/জিকেএস
Advertisement