এইচএসসিতে কিছু পরীক্ষা বাতিল করে সেগুলোতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এতে অনেকে ফেলও করেছেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর কিছু শিক্ষার্থী নতুন করে দাবি তুলেছেন, সবাইকে উত্তীর্ণ অর্থাৎ অটোপাস করিয়ে দিতে হবে।
Advertisement
তাদের এ দাবি ‘অযৌক্তিক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) মতামত জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফল আগামীকাল প্রকাশ করা হবে। ফলাফলের বিষয়ে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে অটোপাস করিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে বলে শুনেছি। তারা নাকি চান যে, সবাইকে পাস করাতে হবে। এটা যৌক্তিক নয়। সবাইকে উত্তীর্ণ; অর্থাৎ অটোপাস করিয়ে দিলে যারা কৃতকার্য হয়েছেন, মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীর ফলাফল অবমূল্যায়ন করা হবে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমরা পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলাম। সংশোধিত রুটিনও করা হয়েছিল। তবে সচিবালয়ে একটা অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মধ্যে কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দিতে হয়েছিল। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখন আগের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এইচএসসির যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, তার সঙ্গে এসএসসির সম্পর্কিত বিষয়ের ফলাফল সমন্বয় করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছে। এটাই চূড়ান্ত।
Advertisement
তিনি বলেন, এবার যারা এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের কেউ এসএসসিতে কোনো বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হওয়ার কারণে পরবর্তী বছরে আবার পরীক্ষার সুযোগ নিয়েছে, সেই ফলাফলও নেওয়া হয়েছে। কাজেই আগামীকাল ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফলে যারা ফেল করবে বা উত্তীর্ণ হবে না, তারা বঞ্চিত হয়েছে এটা কখনই বলা যাবে না।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী—৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
সূচি অনুযায়ী, মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করা হয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির প্রধান এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার জাগো নিউজকে বলেন, দুই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাতিল পরীক্ষাগুলোর ফল তৈরি করেছি আমরা। প্রথমত খুবই সরল একটা প্রক্রিয়া, সেটা হলো— এসএসসিতে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থী যে নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই নামে বিষয় থাকলেই তাতে এসএসসির প্রাপ্ত নম্বর পেয়ে যাবে।
Advertisement
‘দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটিও খুব জটিল নয়। এটা করোনাকালে ফল তৈরিতে যে সাবজেক্ট ম্যাপিং ছিল, সেটা অনুসরণ করে করা হয়েছে। এতে কেউ বঞ্চিত হবে না’ বলেও উল্লেখ করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
এএএইচ/এমএএইচ/জেআইএম