সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি করতে না পারায় চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী বাজারের ডিমের আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) থেকেই ব্যবসায়ীরা আড়ত বন্ধ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন।
তিনি বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রতিটি ফার্মের ডিমের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। অথচ ১৩-১৪ টাকার নিচে ডিম পাইকারি আড়তে মিলছে না। এ অবস্থায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। এসবের প্রতিবাদে ডিম বিক্রিই বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।’
আবদুল শুক্কর লিটন অভিযোগ করে বলেন, ‘এ সমস্যার মূলে রয়েছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা ব্যাংক লেনদেনে সরকার নির্ধারিত টাকা আদায় করলেও নগদে আদায় করছেন বাড়তি দাম। এ অবস্থায় বাড়তি দামে ডিম কিনে তা সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়। সরকারের উচিত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রিতে বাধ্য করা।’
Advertisement
এদিকে আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নগরের বহদ্দারহাট বাজারে বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৭০ টাকা আর সাদা ডিমের ডজন ১৬৫ টাকায়।
আরও পড়ুন>>>ডিমের দাম বৃদ্ধি, সেটা কারসাজি: উপদেষ্টা ফরিদা আখতারতবে ভোক্তাদের দাবি ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করেই বিক্রি বন্ধ করে রেখেছেন। আড়তে ডিম মজুত করে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘আড়ত বন্ধ রাখলে খুচরা পর্যায়ে দামে প্রভাব পড়বে। এ সময় প্রশাসন, খুচরা-পাইকারি, মধ্যস্বত্বভোগী ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসঙ্গে বসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সমাধানে আসা জরুরি।’
এএজেড/এসআইটি/জেআইএম
Advertisement