অর্থনীতি

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই

টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের পর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিললেও চলতি সপ্তাহের শুরুতে আবার দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

Advertisement

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে শেষ নয় কার্যদিবসের মধ্যে সাত কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

এর আগে গত সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। তবে চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৯ অক্টোবর) শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়নি।

এ পরিস্থিতিতে সোমবার (১৪ অক্টোবার) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখীর দেখা মিলে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। এতে সূচকও ঊর্ধ্বমুখী থাকে।

Advertisement

কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দাম কমার প্রবণতাও বাড়তে থাকে। ফলে একদিকে সূচকের বড় পতন, অন্যদিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৭৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

Advertisement

এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৬২ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা টেকনো ড্রাগসের ১৭ কোটি ২৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১১ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- গ্রামীণফোন, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ফারইস্ট নিটিং, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ইবনে সিনা এবং লাভেলো আইসক্রিম।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৫টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

এমএএস/এমআইএইচএস/জিকেএস