সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ করা হলে এ খাতের ৬ হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে লক্ষাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী চাকরি হারাবেন।
Advertisement
যে লক্ষ্যে প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ বন্ধ করে দেওয়া হয় তা গত ২২ বছরে অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সাশ্রয়ী মূল্য, গুনগত মান এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য শপিং ব্যাগের বিকল্প উৎপাদন ও সরবরাহ সম্ভব হয়নি।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের উপর আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামিম আহমেদ।অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে প্লাস্টিক ফাউন্ডেশন।
রিসাইকেল, রিইউজের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ কমানো সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, সমুদ্র দূষণের জন্য আমরা দায়ী না। ভারত, নেপাল, চীন থেকে ৫৪টি নদী বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়। এ নদীগুলো প্রচুর প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে আসে। সুতরাং সব বর্জ্যের জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করা যুক্তিসঙ্গত নয়।
Advertisement
প্লাস্টিকের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী আইডাইজড লবন প্লাস্টিক ছাড়া মোড়কীকরণ সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার ভোজ্য তেলের সঙ্গে ভিটামিন এ যুক্ত করতে চায় যা প্লাস্টিক কন্টেইনার ছাড়া এটা সম্ভব নয়। তরল দুধ প্লাস্টিক প্যাকেজিং ছাড়া বাজারজাত সম্ভব নয়। এছাড়া গাছের চারা, টেক্সটাইল ও জুট প্যাকেজিংসহ নানান কাজে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক দরকার বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ করার প্রচেষ্টা চলছে। সরকারের এই প্রচেষ্টার ফলে প্লাস্টিক সেক্টরের ব্যবসা বাণিজ্য এবং লিংকেজ হিসেবে অন্যান্য সেক্টরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই আইনের কারণে শিল্প বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে এবং বাজারে নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিন্তা করেন। সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবেন কী না সেটাও চিন্তা করেন। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের তালিকায় এমন কিছু পণ্য আছে যার সঙ্গে জড়িত আছে কয়েক লাখ লোকের কর্মসংস্থান। এই খাতের সঙ্গে ১৩ লাখ ক্ষুদ্র বিক্রেতা জড়িত। সরকারের কোষাগারে প্রতিবছর ৪০ হাজার কোটি টাকা জমা হয়।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং, রোল ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু মোতালেব বলেন, এর আগে যখন প্লাস্টিক বন্ধ হল তখন এই খাতের অনেক ব্যবসায়ী পথে বসে গিয়েছিল।
Advertisement
এ সময় তারা সরকারি সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানান ও খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করার আহ্বান জানান।
এনএইচ/এসআইটি/এএসএম