গত ৯ আগষ্ট কলকাতার প্রথম সারির মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় এক নারী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গসহ পুরো দেশ। নারী চিকিৎসককে ধর্ষন ও খুনের বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামে জুনিয়র চিকিৎসক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
Advertisement
আর জি করের নারী চিকিৎসকের বিচারের দাবিসহ দশ দফা দাবিতে কলকাতার ধর্মতলায় অনশনে বসেন ৭ জুনিয়র চিকিৎসক।
অনিকেত ও অনুষ্টুপের পর রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে ধর্না মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও এক অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য। ৮ দিন অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন পুলস্ত্য আচার্য। তাকে গ্রীন করিডরে করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার অন্য একটি প্রথমসারির মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এনআরএস-এ। ওই হাসপাতালেরই জুনিয়র চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলস্ত্য আচার্য।
সাতজন অনশনকারির মধ্যে প্রথম যে জুনিয়র চিকিৎসক অনশনে বসেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন পুলস্ত্য আচার্য। টানা ১৯৬ ঘন্টা অনশন করেছেন পুলস্ত্য।
Advertisement
নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (এনআরএস) অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ইউরিনে কিটোনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বমি বমি ভাব দেখা দিয়েছে পুলস্ত্য আচার্যর। ইতোমধ্যেই তাকে পর্যবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট পাঁচজন চিকিৎসকের একটি মেডিকেল টিম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে নেফ্রলজি, কার্ডিওলজি, মেডিসিন, চেস্ট মেডিসিন, এনেস্থেসিয়ার চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মমতার পদত্যাগ দাবি করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র পশ্চিমবঙ্গে চা শ্রমিকদের আন্দোলন: রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ মমতার আর জি কর হাসপাতালে ৫০ চিকিৎসকের গণইস্তফা, অস্বস্তিতে মমতার সরকারহাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পুলস্ত্য আচার্যর জন্য হাসপাতালে রাখা আছে নির্দিষ্ট সিসিইউ। তাকে ২৪ ঘন্টা অবজারভেশনে রাখা হবে। অসুস্থ হয়েও পুলস্ত্য আচার্য হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি। তাকে বুঝিয়ে অনেকটা জোর করেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অনশনরত এক জুনিয়র চিকিৎসকও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডিডি/টিটিএন
Advertisement