খেলাটা হয়েছিল রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে। গুজরাট লায়ন্সের ডেরা। বাঘের ডেরায় গিয়ে অন্য কারও গর্জণ করা খুবই কঠিন; কিন্তু শুক্রবার রাতে মুস্তাফিজদের সামনে বাঘ হতে পারেনি সুরেশ রায়নার গুজরাট। সানরাইজার্স বোলারদের সামনে শুধু বিড়ালের মত মিউ মিউ করেছে গুজরাটের ব্যাটসম্যানরা। যাদের সামনে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। কারণটা তার বোলিং ফিগার দেখলেই বোঝা যায়। ৪-০-১৭-২। ইকনোমি রেট ৪.২৫ করে। খুবই কৃপণ। এত কৃপণ কোন বোলার হতে পারলে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ সত্যিই আতঙ্কে ভোগার কথা। শুধু তাই নয়, স্কোরবোর্ডেও খুব একটা রান তোলা সম্ভব হয় না।আইপিএলের শুরু থেকেই সব প্রচারের আলো কেড়ে নিয়েছেন মুস্তাফিজ। তার বোলিংয়ের মহিমা এমনই যে, সবাই প্রশংসা করতে বাধ্য হচ্ছেন। গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয়ী ম্যাচের সেরা ভুবনেশ্বর কুমারও তাই ম্যাচ শেষে প্রশংসা করতে বাধ্য হলেন মুস্তাফিজের।৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর। তবে প্রথম দিকে একটি মেডেন দিয়ে যেভাবে গুজরাটকে চেপে ধরেছিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ২টি উইকেট নেয়ার কারণেই মূলতঃ তার হাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে গিয়ে ভুবনেশ্বর উল্টা প্রশংসা করলেন মুস্তাফিজেরই। মুস্তাফিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আর কী বলবো মুস্তাফিজকে নিয়ে। তার স্লোয়ারগুলো তো খুবই কঠিন। ব্যাটসম্যানরা বুঝতেই পারে না। খেলা তো দুরে থাক। তার কারণেই আমি চাপটা অনুভব করি না একদমই। কারণ, অন্য সবার থেকেই চাপটা সে নিয়ে নেয় নিজের ওপর এবং দুর্দান্ত বোলিং করে। এছাড়া নেহরাও ডেথ ওভারে দারুন বোলিং করেছে।’নিজের সেরা হওয়া সম্পর্কে ভুবনেশ্বর বলেণ, ‘নতুন বলের বোলার হিসেবে প্রথমেই ২-৩টি উইকেট নিয়ে নিতে পারলে দলের জন্য খুবই ভালো হয়। প্রতিপক্ষের ওপর দারুন চাপ তৈরী করা যায়। আর আজ তো বল দারুন সুইং করেছে। এসব পরিস্থিতিতে বোলারদের পিটিয়ে খেলা সম্ভব নয়। আমি ৩-৪টি উইকেট নিতে পারতাম। তবে বাকিগুলো একেবারে কানের গোড়া দিয়ে গিয়েছে।’আইএইচএস/এমএস
Advertisement