বিধায়ক ছেলের দপ্তরের সামনে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। এই খুনের ঘটনায় ভারতজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
Advertisement
বিজেপি-শিব সেনা (শিণ্ডে শিবির) শাসিত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ দাগছে বিরোধীরা। খুনের ঘটনা নিয়ে অযথা রাজনীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।
বান্দ্রা পশ্চিমের তিনবারের বিধায়ক ছিলেন ৬৬ বছরের সিদ্দিকি। বিধায়ক ছেলে জিশানের দপ্তরের সামনে গতকাল উৎসবের আমেজে ছিলেন তিনি। আতশবাজি ফাটাচ্ছিলেন। তখনই তার ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা।
গুলিবিদ্ধ এনসিপির সাবেক বিধায়ককে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। এরই মধ্যে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বিষ্ণোই গ্যাং। এভাবে বাবা সিদ্দিকির খুনের ঘটনা মহারাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলার দৈন্যদশাকে প্রমাণ করে, বক্তব্য কংগ্রেসের। এই বিষয়ে রোববার মুখ খুলেছেন রাহুল গান্ধী।
Advertisement
তিনি বলেন, বাবা সিদ্দিকির মৃত্যু অত্যন্ত অবাক করে দেওয়া ও বেদনাদায়ক। এই কঠিন সময়ে আমি তার পরিবারের পাশে আছি। সরকারকে এই ঘটনার দায় নিতে হবে। অবশ্যই যেন উপযুক্ত বিচার হয়। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় মহারাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলার দৈন্যদশা।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মন্তব্য করেন, এমন ঘটনা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির মর্মান্তিক মৃত্যু ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই শোকের মুহুর্তে আমি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমর্থকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকারকে অবশ্যই একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে। দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। সরকারকে ঘটনার জবাবদিহি করতে হবে। মহারাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ দেগেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম
Advertisement