দেশজুড়ে

পর্যটকের পদচারণায় মুখর সুন্দরবন

পূজার ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সুন্দরবন। টানা চারদিনের ছুটির শেষ দিনে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে এখানে। কেউ এসেছেন পরিবারের সঙ্গে আবার কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে। সুন্দরবন ভ্রমণে এসে আনন্দ উপভোগের পাশাপাশি নানান সমস্যার দিকগুলোও তুলে ধরছেন পর্যটকেরা।

Advertisement

যদিও এখন পর্যটন মৌসুম নয়। মূলত শীতকালে শুরু হয় পর্যটন মৌসুম। বাকি সময়টাতে স্বল্প সংখ্যক পর্যটকের দেখা মিলে সুন্দরবনে। আর বছরের বিভিন্ন ছুটির দিনেও বাড়ে পর্যটক। কিন্তু এরমধ্যে পূজার ছুটিতে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে সুন্দরবন। পূজার ছুটি কাটাতে ও আনন্দ উপভোগে লোকজন বেছে নিয়েছেন সুন্দরবন ভ্রমণকে। ছুটির শেষ দিন রোববার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক এসেছে সুন্দরবনে। একদিকে সুন্দরবন ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মনে রয়েছে বনের হিংস্রতার ভয়। অপরদিকে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মধ্যে ভয়কে জয় করে মেতে উঠছেন আনন্দ উপভোগে। বনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণী দেখে খুশি দর্শনার্থীরা।

করমজল পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণে আশা সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা শিক্ষিকা জাহানারা আফরোজ বলেন, খোলা বনে বন্যপ্রাণীর আক্রমণের ভয়তো লাগছেই। বানর, হরিণ, কুমিরসহ অনেক প্রাণী দেখেছি, খুব ভাল লেগেছে। রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, এবার নিয়ে সুন্দরবনে দুইবার আসা হলো। প্রকৃতির টানে ছুটে এসেছি, প্রাণ-প্রকৃতি সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভালই লাগছে। কুমিল্লা থেকে আসা স্কুল শিক্ষার্থী জান্নাত বৃষ্টি আক্ষেপ করে বলেন, বাঘ দেখতে পারিনি, দেখতে পারলে ভালই লাগতো। বাঘ ছাড়া অন্যান্য পশুপাখি দেখছি, আনন্দ লেগেছে।

চাঁদপুর থেকে আসা জান্নাতুল ফেরদৌস ও আমিনুল দম্পতি বলেন, সুন্দরবনের স্পটগুলোতে বিদ্যুৎ নেই, তাই গরমে কষ্ট হয়েছে। এছাড়া খাবার পানিরও কোনো ব্যবস্থা নেই, নেই হাত-মুখ ধোয়ার পানির ব্যবস্থাও। তাই আনন্দ অনেকটা নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থেকে আসা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানকার ব্যবস্থাপনা মোটামুটি, তবে আরও ভাল হতে পারতো।

Advertisement

করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায় সুন্দরবনের পর্যটকদের আগমন বাড়তে শুরু করেছে। আর পূজার ছুটিতে পর্যটকের আগমন আরও বেশি। আমরা আগত পর্যটকদের সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যারা একবার আসবেন, তারা বারবারই আসতে চাইবেন এখানে।

আবু হোসাইন সুমন/আরএইচ/জিকেএস