জাতীয়

গ্রেফতার তিনজনের কাছ থেকে টাকা-স্বর্ণালংকার-আইফোন উদ্ধার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গভীর রাতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল একটি বাসা থেকে সাড়ে ৭৫ লাখ টাকা ও ৬০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

গ্রেফতাররা হলেন- শরীফুল ইসলাম তুষার (৩৫), জাকির হোসেন (৩৭) ও মো. মাসুদুর রহমান (৪৭)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই লাখ বিশ হাজার টাকা, প্রায় চার ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও দুটি আইফোন উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

Advertisement

তিনি বলেন, গত ১২ অক্টোবর দিনগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলায় সরাসরি জড়িত তিন ডাকাতকে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে এ ঘটনায় র‌্যাব ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। একই সঙ্গে ডাকাতির ঘটনায় লুট করা সাত লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

আরও পড়ুন গ্রেফতার ১১ জনের পাঁচজনই বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য  মিরপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৪  সেনা ও র‍্যাবের পোশাক পরে ডাকাতি, গ্রেফতার ৬   ঢাকায় সেনা ও র‍্যাবের পোশাক পরে ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট 

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেফতার ৮ জনের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য। বাকি তিনজন সাধারণ মানুষ। তাদের কাছ থেকে সোনার একটি ব্রেসলেট ও আংটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী আবু বকর জানান, তারা বাসায় ঢুকে আমার বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেইনি বলে অস্ত্র নিতে আসার কথা জানায়। অস্ত্র থানায় জমা দেওয়া হয়েছে জানালেও তারা কোনো কথা না শুনে অস্ত্র খোঁজার নাম করে আলমারিগুলো খুলে তছনছ করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়।

Advertisement

তিনি জানান, পরে তারা ফ্ল্যাটের একপাশে আমার অফিসে যায় এবং একইভাবে অস্ত্র আছে বলে সিন্দুক ও আলমারি খুলে টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যায়। তারা প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে ভোর সোয়া ৪টার দিকে বের হয়ে যায়।

দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি প্রাইভেটকার নিয়ে বাসার ভেতরে ২৫-৩০ জন ঢুকেছিল, বাইরেও তাদের লোকজন ছিল।

আবু বকর আরও বলেন, আমার বাসা-অফিস মিলে নগদ ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্ত্রী, কন্যা, ছেলের বউয়ের প্রায় ৬০ ভরির বেশি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। নগদ টাকার মধ্যে বড় অংশ ছিল জমি বিক্রির টাকা।

টিটি/এমআরএম/জিকেএস