দীর্ঘ প্রায় তিন বছর কোনো হাফ সেঞ্চুরি পর্যন্ত নেই পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার হিসেবে পরিচিত বাবর আজমের। টানা ব্যর্থতার কারণে অবশেষে পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে তাকে রাখা হবে না বলে জানা যাচ্ছে।
Advertisement
মঙ্গলবার শুরু হবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শান মাসুদের দল ৫৫৬ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে হেরেছেন ইংল্যান্ডের কাছে। গত শুক্রবার এই লজ্জাজনক পরাজয়ের পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করেন পাকিস্তানের জাতীয় দলের নির্বাচকরা।
শনিবারও বৈঠক করেন তারা। দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মাহসিন নকভি, কোচ জেসন গিলেসপি এবং আধিনায়ক মাসুদও। পিসিবি সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচ জেসন গিলেস্পিও বাবরকে নিয়ে হতাশা গোপন রাখেননি। তার ধারাবাহিক ব্যর্থতায় আগে থেকেই হতাশ ছিলেন কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে বাবরকে নিয়ে অসন্তোষ চরমে পৌঁছেছে। তাই দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে তাকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে।
যদিও অধিনায়ক শান মাসুদ প্রথম টেস্টের পরও বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাকে ‘পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার’ হিসাবে অভিহিত করেছিলেন। বাবরকে ফর্মে ফেরার জন্য সময় এবং সুযোগ দেওয়ার পক্ষেও কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু কোচ গিলেস্পি মনে করছেন, বাবর যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। বিশেষ কারও জন্য দল বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হোক তিনি চান না।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর বাবর টেস্টে হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। ২০১৯ সালের পর ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেননি বাবর। তাকে কায়েদ-ই-আজম ট্রফি খেলার নির্দেশ দেওয়া হবে। আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা।
শেষ নয়টি টেস্টে বাবরের গড় ২১-এর কম। টানা ১৮টি ইনিংসে ৫০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। কিছুদিন আগেই সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। এবার টেস্ট দল থেকে বাদ পড়তে চলেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তান পাবে না অসুস্থ আবরার আহমেদকে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রথম একাদশে তাই দু’টি পরিবর্তন নিশ্চিত। বাবর এবং আবরারের পরিবর্তে নোমান আলি এবং সাজিদ খান আসতে পারেন প্রথম একাদশে। সংশয় রয়েছে শাহিন আফ্রিদির খেলা নিয়েও। হাঁটুর পুরনো চোট আবার ভোগাচ্ছে তাকে। শাহিনের ফিটনেস নিয়েও খুশি নন গিলেস্পি। সম্পূর্ণ ফিট না হলে তাকেও খেলাতে রাজি নন পাকিস্তানের টেস্ট দলের কোচ।
আইএইচএস/
Advertisement