দেশজুড়ে

সুজিতের দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হয় ১২০০ কাপ চা

বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যেখানকার মানুষ চা পছন্দ করেন না। আমাদের বাংলাদেশেও সকাল-সন্ধ্যায় কিংবা আড্ডা দেওয়ার অন্যতম একটি অনুসঙ্গ চা। আর প্রতিদিন প্রায় ১২০০ কাপ সেই চা বিক্রি করে সাড়া ফেলেছেন জয়পুরহাটের সুজিত চা স্টলের মালিক সুজিত চন্দ্র সরকার।

Advertisement

তার দোকানে প্রতিদিনই ১৫ ধরনের চা ও সাত ধরনের কফি বিক্রি হয়। বিকেল থেকেই জমজমাট হয় তার দোকান। নানা ধরনের চায়ের স্বাদ নিতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো হয় মানুষ।

চায়ের দোকানের কারিগর হামিদুল ইসলাম আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দোকানে দুধ চা, লাল চা, মালাই চা, মেট চা, গ্রিন টি, লেমন টি, মশলা চা, ব্লেন্ডার চয়েস, স্লিম টি, তুলশী, মাল্টা, আমলকী, মরিংগাসহ ১৫ ধরনের চা পাওয়া যায়। এছাড়াও জিংসিং, কাপুচিনো, ব্ল্যাকসহ সাত ধরনের কফি রয়েছে আমাদের দোকানে। ৬ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫ টাকার চা পাওয়া যায় এখানে। এছাড়া ১৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা দামের কফি পাওয়া যায়।

চায়ের দোকানের আরেক কর্মচারী হৃদয় চন্দ্র মন্ডল বলেন, আমি প্রায় ১১ বছর ধরে এখানে কাজ করছি। এখানকার বেতন দিয়ে আমার সংসার ভালোমতো চলে।

Advertisement

চা খেতে আসা সাজু সরকার বলেন, সুজিতদার চা অনেক মজার। তাই এখানে চা খেতে এসেছি।

চা খেতে আসা আব্দুল হাদি জাগো নিউজকে বলেন, এখানে গাভীর দুধের চা পাওয়া যায়। আমরা অনেক বছর ধরে এখানে চা খাই। কোনো মেহমান এলে তাদেরকেও এখানে চা খেতে নিয়ে আসি।

সুজিত চন্দ্র সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ২১ বছর আগে রেলস্টেশন সড়কে সুজিত টি স্টল অ্যান্ড কফি হাউজ দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। প্রথমদিকে ব্যবসায় তেমন সফলতা না এলেও চা বিক্রি করে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিদিনই প্রায় ৬০-৭০ কেজি দুধের চা বিক্রি করি। দোকানে ২২ প্রকারের চা-কফি বিক্রি হয়। বর্তমানে আমার দোকানে তিনজন কর্মচারী রয়েছে। দৈনিক প্রায় ১২০০ কাপ চা-কফি বিক্রি হয় এখানে।

সুজিত আরও বলেন, আমি চা বিক্রি করে তার আয় দিয়ে আরেকটি হোটেল করেছি। সবমিলিয়ে এখন আমার ৯-১০ জন কর্মচারী।

Advertisement

আল মামুন/এফএ/জেআইএম