দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ডেঙ্গু জ্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছর ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ২ আগস্ট একদিনে সর্বোচ্চ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১০ জনে।
Advertisement
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯১৫ জন। এ নিয়ে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ৮১০ জন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৩৩১ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১০৮ জন, খুলনা বিভাগে ৯৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, রংপুর বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে চারজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
Advertisement
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪১ হাজার ৮১০ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ২১০ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন ডেঙ্গুতে মারা যান, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বাধিক মৃত্যু।
২০১৯ সালে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৩০০ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম ছিল, কিন্তু ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান। ২০২২ সালে ডেঙ্গুর জন্য মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যার মধ্যে ২৮১ জন মারা গিয়েছিলেন।
Advertisement
এএএম/এমএএইচ/জেআইএম