খেলাধুলা

শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিং জুটিতে আসছে রদবদল!

খারাপের মাত্রাটা একই আছে। ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই আর কানপুর টেস্টে যাচ্ছেতাই ব্যাটিং করে চরমভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ঠিক সেই অনুজ্জ্বল, শ্রীহীন ব্যাটিং অব্যাহত আছে।

Advertisement

গোয়ালিয়র ও দিল্লি- দুই শহরেই যাচ্ছেতাই ও বলগাহীন ব্যাট চালিয়েছেন বাংলাদেশের লিটন দাস, পারভেজ ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।

ব্যাটাররা এতটুকু ভালো খেলতে না পারায় স্কোরলাইন বড় হয়নি। প্রথম ম্যাচে ১২৭ আর পরের খেলায় ১৩৫-এ ইনিংস থেমে গেছে।

দুই ম্যাচে কোনো ফিফটি নেই। কেউ দেড়শ বা তার বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করা বহুদূরে, ১২৫+ স্ট্রাইকরেটেও চল্লিশোর্ধ্ব কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি।

Advertisement

প্রথম খেলায় মিরাজের ১০৯.৩৭ স্ট্রাইকরেটে ৩৫ আর অধিনায়ক শান্তর ১০৮ স্ট্রাইকরেটে ২৭ রানই ছিল সেরা ব্যাটিংয়ের নমুনা। পরের খেলায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪১ রান করলেও টি-টোয়েন্টি মানে সেটা ছিল বেশ স্লথ ( ৩৯ বলে ১০৫.১২ স্ট্রাইকরেটে ৪১)।

এমন নয়, উইকেট ভালো ছিলনা। হাত খুলে খেলা ছিল কঠিন। কিংবা ভারতীয় বোলাররা এমন বল করেছেন যে, ফ্রি স্ট্রোক খেলা যায়নি। ওসব কিছুই না। যে পিচে ভারত তুলেছে ২২১, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন কার চেয়ে কে বেশি খারাপ করবেন সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন।

কেউ মেধা, বুদ্ধি খাঁটিয়ে লম্বা ইনিংস খেলার চেষ্টাই করেননি। অদ্ভুত তাড়াহুড়ো, লক্ষ্যহীন, আলগা ব্যাট চালনা, অপ্রয়োজনীয় শট খেলার চেষ্টা ছিল সবার। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষ ম্যাচে একদিক আগলে রাখার চেষ্টা করলেও যে স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন, সেটা আসলে টি-টোয়েন্টির সঙ্গে যায় না।

সব মিলে একটা হতচ্ছিরি অবস্থা ব্যাটিংয়ে। মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই বাংলাদেশ ম্যাচে কোনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি।

Advertisement

কাজেই শেষ ম্যাচে টাইগার ভক্তদের একটাই চাওয়া, ব্যাটারদের ভালো খেলা। তারা দায়িত্ব নিয়ে বোধ-বুদ্ধি খাটিয়ে ভারতীয় বোলারদের মোকাবিলা করুন, তা দেখতেই মুখিয়ে টাইগার সমর্থকরা।

এখন ব্যাটিংয়ের কথা বলতে গেলে সবার আগে আসে ওপেনিং প্রসঙ্গ। দুই ওপেনার লিটন দাস (৪ ও ১৪) ও পারভেজ ইমন (৮ আর ১৬) দুজনই চরম ব্যর্থ। দুই বছর পর পরে আবার দলে ফিরেও পারভেজ ইমন দুই খেলাতেই অযথা ছটফট করে অফস্টাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন।

লিটন দাসের অবস্থাও খারাপ। এতদিন খেলার পরও কোন বলটা মারবেন, কীভাবে শট খেলবেন, কোথায় খেলবেন; তা যেন ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না।

তাই আজ শনিবার সন্ধ্যায় শেষ ম্যাচে টিম বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে পরিবর্তনের জোর সম্ভাবনা আছে। অপর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে বেশি প্র্যাকটিস করানো হয়েছে। জুনিয়র তামিমকে খেলানোর চিন্তাভাবনা নাকি চলছে। যদি তাই হয়, তাহলে ২ ওপেনারের একজনকে বাদ পড়তে হবে। তিনি কে হবেন-লিটন নাকি ইমন? সেটাই দেখার।

এর বাইরে শেখ মেহেদিকেও একাদশে দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দুই খেলায় (৮ ও ১) মাত্র ৯ রান করা জাকের আলীর বাদ পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম