কাজে ডুবে থাকতে ভালোবাসেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। গত ৫ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ছিল নাটক। বৃষ্টির কারণে সেটা বাতিল হতেই ছুটে গেছে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে। দূর্গাপুজা উপলক্ষে ত্রিশুল হাতে সেখান থেকে তিনি দিলেন অন্য রকম এক বার্তা।
Advertisement
‘দূর্গা দেবীর স্থান কি শুধুই মন্দিরে? তিনি কি প্রতিটি নারীর আত্মার প্রতিফলন নন? সমুদ্রের মতো তিনিও সর্বব্যাপী, সবকিছুকে আলিঙ্গন করেন। দূর্গা শান্তি ও বিজয়ের প্রতীক।’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা টুগেদার উই ক্যানের পেজ থেকে নওশাবা জানালেন, দূর্গাপূজায় তাদের এবারের আয়োজনে সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়কে দেবীরূপে নারী শক্তির ঢেউয়ে প্লাবিত করার প্রয়াস এটি।
নওশাবার পোস্ট করা প্রতিটি ছবিতে রয়েছে ব্যতিক্রম সব বার্তা। ‘দূর্গার সমুদ্র’ শীর্ষক আলোকচিত্রগুচ্ছে তিনি জানিয়েছেন ভালোবাসা আর সম্প্রীতির বার্তা। সেখানে নওশাবাকে দেখা গেছে দূর্গা রূপে। ত্রিশুল হাতে তিনি সব ধর্মের সম্প্রীতি, সমুদ্রের দূষণ, দূর্গার মাতৃরূপ, অসহায়ের সহায়, ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন যেন।
জাগো নিউজকে নওশাবা বলেন, ‘নিরাপত্তা নেই, চারপাশে কী সব হচ্ছে বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে। তাই সবাইকে এই বার্তাটা দিলাম যে, আসলে নিরাপত্তা নাই কথাটা ঠিক না। কক্সবাজারের মতো জায়গায় দূর্গার সাজে আমি ফটোশুট করেছি। সাধারণ মানুষ আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। যদিও কেউ কেউ বলেছিলেন, “গয়না দেব না, ব্লাউজ দেব না”। আমি বলেছি, আপনারা তো দেবেন, পরবেন না। পরব আমি। ভয় কী?’
Advertisement
আলোকচিত্রের বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, সব ধর্মের মানুষকে সম্মান করতে হবে। সব ধর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ ও প্রাণপ্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। আমাদের এই বিষয়বস্তু ও দর্শনে আমরা আগুন, বাতাস, মাটি, পানি ও আকাশ নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের কথা হচ্ছে, ধর্মনিরপেক্ষ সম্প্রীতির যে বাংলাদেশের কথা আমরা বলি, সেটা কীভাবে তৈরি হবে? আমি যেহেতু শিল্পী, শিল্পের ভাষায় নিজের অবস্থান ও প্রতিবাদ জানালাম।’
দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আলোকচিত্রায়ন ও ভিডিওচিত্র নির্মাণ করেছে টুগেদার উই ক্যান ও আলোকচিত্র সংস্থা মোমেন্টওয়ালা। পরিচালনা ও ফটোগ্রাফি করেছেন এমডি নাজমুল হোসাইন। নওশাবাকে দূর্গার সাজে সাজিয়েছেন ইমন হোসেন, ভিডিওর সংগীতায়োজন করেছেন ইজাজ ফারাহ, সিনেমাটোগ্রাফি ও সম্পাদনা করেছেন ইমরানুজ্জামান সোহাগ। প্রযোজনা নির্বাহ করেছেন অমিত সিনহা।
আরএমডি/এএসএম
Advertisement