খেলাধুলা

সেই হায়দরাবাদে এবার সাফল্যের নতুন সূর্যের দেখা মিলবে?

দিল্লিতেও সুখস্মৃতি ছিল টাইগারদের। যে মাঠে গত ৯ অক্টোবর চলতি সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হলো, ঠিক সেই অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আগে ভারতকে হারানোর রেকর্ড আছে। তাও ছোটখাটো ব্যবধানে নয়, ৭ উইকেটে। এদিকে আজ যে শহরে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল, সেই হায়দরাবাদেও এক অন্যরকম সাফল্য আছে টিম বাংলাদেশের।

Advertisement

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম জয় ধরা দিয়েছিল হায়দরাবাদ শহরে। ১৯৮৬ সালের ২ এপ্রিল ক্যান্ডিতে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার সাথে ৭ উইকেটে হার দিয়ে ওয়ানডে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। ঠিক ১ যুগ পর ১৯৯৮ সালের ১৭ মে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে দিবারাত্রির ম্যাচে কেনিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে প্রথম জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ।

মূলত বাঁহাতি স্পিনার হলেও ওই খেলায় পরিবর্তিত ওপেনার হিসেবে দারুণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক হয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক।

প্রথমে বল হাতে ১০ ওভারে ৫৬ রানে ৩ উইকেট দখলের পর মেকশিফট ওপেনার হিসেবে ৬৭ রানের এক দারুণ ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন রফিক। ৮৭ বলে ১১টি বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৭৭ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন তিনি। ২৩৭ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে রফিক আর আতহার আলী খান (এখনকার টিভি ধারাভাষ্যকার) প্রথম উইকেট জুটিতে ১৩৭ রানের বড়সড় জুটি গড়লে বাংলাদেশ জয়ের পথে অনেকদূর এগিয়ে যায়। আতহার আলী করেছিলেন ৯১ বলে ৪৭।

Advertisement

সেটা ছিল ত্রিদেশীয় আসর। তাতে আকরাম খানের নেতৃত্বে কেনিয়াকে হারিয়ে ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

সেদিক থেকে হায়দরাবাদ শহর হলো বাংলাদেশের ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের শহর। তবে শহর এক থাকলেও আজ কিন্তু সেই লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে নয়, খেলা হবে আরেক ভেন্যু রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে।

হোক তা ভিন্ন ফরম্যাট ওয়ানডেতে, ভিন্ন স্টেডিয়ামে; তারপরও সাফল্যের শহর হায়দরাবাদে নতুন সূর্যের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।

২৬ বছর আগে বাঁহাতি স্পিনার রফিক ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে কেনিয়ান বোলিংকে লণ্ডভণ্ড করেছিলেন। এবার ভারতের বিপক্ষে আগের ২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওপেনার লিটন দাস (৪, ১৪) আর পারভেজ ইমন (৮ ও ১৬) চরম ব্যর্থ। তাই ২ খেলাতেই শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ।

Advertisement

আজ হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে তাই নিচ থেকে কাউকে মেকশফিট ওপেনার হিসেবে খেলানো হয় কিনা, সেটাই দেখার।

এআরবি/এমএমআর/এএসএম