নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার কনস্টেবল মো. ইব্রাহিম হত্যায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে নিহত পুলিশ সদস্যের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পরে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামিরা।
Advertisement
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন, সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছিদ্দিকের ছেলে নাইম হোসেন (২১), জয়াগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওরকোট গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে ইমাম হোসেন ইমন (২২) ও সোনাইমুড়ী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৌশল্যারবাগ গ্রামের এক কিশোর (১৬)।
পুলিশ সুপার জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সোনাইমুড়ী বাইপাস বাসস্ট্যান্ড থেকে নাইম হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে সন্ধ্যায় ভাওরকোট গ্রাম থেকে ইমাম হোসেন ইমনকে এবং রাতে বাইপাস সড়ক থেকে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
তাদের কাছ থেকে নিহত কনস্টেবল মো. ইব্রাহিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনার তিনদিন পর গত ৮ আগস্ট দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে আসামি ইমাম হোসেন ইমনের মেসেঞ্জারে ওমর ফারুককে পাঠানো ভয়েস মেসেজ পাওয়া যায়। যাতে আসামি ইমন পুলিশ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। এছাড়াও মোবাইলে আসামিদের একে অপরের কললিস্ট পাওয়া যায়।
পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক আরও বলেন, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আসামিদেরকে ৫ আগস্ট থানায় আক্রমণ ও পুলিশ হত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক আফসানা রুমির কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানো এবং অপ্রাপ্তবয়স্ককে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
গত ৫ আগস্ট আসামিদের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র জনতা সোনাইমুড়ী থানায় আক্রমণ করে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এসময় প্রাণভয়ে পালানোর সময় কনস্টেবল মো. ইব্রাহিমকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ রেললাইনে নিয়ে উন্মত্ত নৃত্য করে আসামিরা।
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এএসএম
Advertisement