খেলাধুলা

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে আশার প্রদীপ নিভুনিভু বাংলাদেশের

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতা আর বাজে বোলিংয়ের কারণে ক্যারিবিয়ানদের কাছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এতে শেষ চারে খেলার আশা ম্লান হয়ে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। এখন শুধু কাগজে-কলমে টুর্নামেন্টে টিকে আছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভালো রানরেটের সঙ্গে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বি-গ্রুপে শীর্ষে উঠে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১০৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে হেইলি ম্যাথিউজ ও দিয়ান্দ্রা দতিনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৩ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২২ বলে ৩৪ রান করেন ওপেনার ম্যাথিউজ। ২৯ বলে ২৭ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন আরেক ওপেনার স্ট্যাফেনি টেলর। ১৬ বলে ২১ রান করেন শেমাইন ক্যাম্পবেলে।

৭ বলে ১৯ রান করে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন দতিন। তার সঙ্গে ৩ বলে ২ রানে চিনেলে হ্যানরি। ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে রাবেয়া খানকে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন দতিন।

Advertisement

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১২ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান সাথী রানী। কারিশরা রামহারাকের বলে উইকেটরক্ষক শেমাইন ক্যাম্পবেলের হাতে স্টাম্পড হন বাংলাদেশ ওপেনার।

আরেক ওপেনার দিলারা আক্তার ভালো করছিলেন। তবে বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি। ১৮ বলে ১৯ রান করে রামহারাকের বলে বোল্ড হন তিনি।

সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৪৩ বলে ৪০ রানের জুটি করেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। রামহারাকের বলে ইনিংসে দ্বিতীয় স্টাম্পড হওয়ার আগে ২২ বলে ১৬ রান করেন মোস্তারি।

৫ বলের অপচয় করে মাত্র ১ রান নিয়ে আউট হন তাজ নেহার। ১৫তম ওভারে আফি ফ্লেচারের ডেলিবারিতে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে ক্যাচ হন তিনি। পরের বলেই নতুন ব্যাটার স্বর্ণা আক্তারকে (১ বলে ০) বোল্ড করেন ফ্লেচার। ৭৫ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

Advertisement

রিতু মনি করেন ১৩ বলে ১০ রান। রামহারাকের বলে চিনেলে হ্যানরি হাতে ক্যাচ হন তিনি। ৪৪ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক জ্যোতি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন কারিশমা রামহারাক।

এমএইচ/ইএ