চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কবির আহম্মদ সওদাগর (৬৫) নামের এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার গাছ মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কবির আহম্মদ উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমানে ইউনিয়ন কমিটির সদস্য। তিনি একই ইউনিয়নের গণকছড়া গ্রামের মৃত দিল মোহাম্মদের ছেলে।
এসময় আহত হয়েছেন, কবির আহম্মদের ছেলে দিদারুল আলম (৪২) ও জামশেদ আলম (৩৫), আবদুল বারেক (২৮), শরীফুল ইসলাম (৩০) এবং অজ্ঞাত (৩০)।
Advertisement
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অজ্ঞাত যুবককে (৩০) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী বলেন, বিএনপির প্রবীণ নেতা কবির আহম্মদের মার্কেটের একটি দোকানে কয়েকমাস আগে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনায় পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন বাবলু শালিসি বৈঠক করেন। এ ঘটনায় কবির আহম্মদ ও জিয়া উদ্দিন বাবলুর সঙ্গে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭-৮ জনের একটি স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কবির আহম্মদের দোকানে এসে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় কবির আহম্মদের দুই ছেলে দিদারুল আলম ও জামশেদ আলমসহ দোকানের কয়েকজন কর্মচারী।
এ বিষয়ে জানতে জিয়া উদ্দিন বাবুলর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক এরশাদ উল্ল্যাহ বলেন, সন্ধ্যায় কবির আহম্মদ নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের একাধিক স্থানে কোপানোর জখম রয়েছে।
Advertisement
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে কবির আহম্মদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। কবির আহম্মদকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুআজনকে আটক করা হয়েছে।
এম মাঈন উদ্দিন/আরএইচ/জেআইএম