ক্যাম্পাস

তারুণ্যের উদ্ভাবনী চিন্তাকে উদ্বুদ্ধ করবে ডিইউ আই-ল্যাব

তারুণ্যের সৃজনশীলতা আর উদ্ভাবনী চিন্তাকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করেছে ডিইউ ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন ল্যাব (ডিইউ আই-ল্যাব)। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে তরান্বিত করার মাধ্যমে উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে একটি সুষ্ঠু উদ্ভাবনী পরিবেশ ও উদ্ভাবন চর্চা সৃষ্টিতে কাজ করবে নতুন এ সংগঠন।শুক্রবার বিকেলে উপাচার্য দফতর সংলগ্ন পুরাতন সিনেট কক্ষে সংগঠনটির উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সংবাদ সম্মেলনে ডিইউআই-ল্যাব এর পরিচালক মো. রাশেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।সমগ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে উদ্ভাবিত বিভিন্ন পরিকল্পনা, সামাজিক উদ্যোগ ও ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা সৃষ্টির কেন্দ্র হিসেবে এই ল্যাবরেটরি গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যা উদ্যমী ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের মূল ভিত্তি কৃষি শিল্পসহ নানা খাতের উদ্ভাবনের পরিবেশ ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করা যেমন আবশ্যক, তেমনি বহু সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশে উদ্ভাবন-এর গুরুত্ব বর্তমানে একটি সামাজিক চাহিদা। তাই বাংলাদেশে উদ্ভাবন নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জ্ঞানভিত্তিক শক্তি অর্জনের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন ল্যাব (ডি ইউ আই-ল্যাব) স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা উপাচার্য দফতরের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প।একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উদ্ভাবনের ভূমিকা উল্লেখ করে আই ল্যাবের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তার বক্তব্যে বলেন, উত্তরোত্তর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে উদ্ভাবন হচ্ছে প্রধানতম হাতিয়ার। স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতি, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা কিংবা শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে উদ্ভাবন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের নানা উদ্ভাবনী চিন্তা উপস্থাপন করার একটি প্লাটফরম হবে এই ল্যাব। ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরাই অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে তাদের চিন্তা দিয়ে। তরুণদের যে সৃজনশীলতা আছে, তাদের যে উদ্ভাবনী চিন্তা আছে, সেটাকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করার জন্যই এই ল্যাব।উপাচার্য বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা, শিল্প ও প্রতিযোগিতামূলক উন্নয়ন চর্চাসহ নানা মাধ্যমে বাংলাদেশের উদ্ভাবন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে এই প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে সরকার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, শিল্প-সংস্থা, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি করে ল্যাবকে সম্প্রসারিত করা হবে জাতীয় ভিত্তিতে।তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসা শিক্ষাসহ সকল অনুষদের শিক্ষার্থীদের চিন্তাশীলতা ও উদ্ভাবন চর্চার স্থান হবে এই উদ্ভাবনী ল্যাবরেটরি।উল্লেখ্য, ডিইউ আই-ল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার জন্য উন্মুক্ত এবং যার যার অবস্থান থেকে সকলে তাদের উদ্ভাবিত প্রক্রিয়া ও সামাজিক ধারণা উদ্ভাবনী কেন্দ্রে জমা দিতে পারবেন। এমএইচ/একে/এমএস

Advertisement