চলমান প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রাথমিক স্কুলের দেওয়ালে গ্রাফিতি দিয়ে সজ্জিতকরণ করা হবে। পাশাপাশি স্কুলের আঙ্গিনায় তৈরি করা হবে চিলড্রেনস প্লে কর্নার। এই দুই খাতে মোট ব্যয় করা হবে ৩৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
Advertisement
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে যেসব বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ জমি পাওয়া যাবে সেখানে একটি খেলার মাঠ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। মাঠের সুবিধাজনক কোনো স্থানে শিশুদের আনন্দের জন্য কয়েক ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী স্থাপন করা হবে। এরমধ্যে থাকবে দুটি করে দোলনা, দুটি ব্যালেন্স ও দুটি স্লিপার। এ ধরনের উপাদানে ব্যয় মেটাতে আনুমানিক ২২০টি বিদ্যালয়ের প্রতিটির জন্য সাড়ে ৮ লাখ টাকা করে ব্যয় করা হবে।
দেওয়াল সজ্জায় ব্যয় ১৭ কোটি ৮০ লাখ১৯৫২-১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার মূল ঘটনাগুলোসহ বর্তমানের ঘটনাবহুল চিত্র এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলীয় বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি দেওয়ালে শোভা পাবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ইতিহাস, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার মূল ঘটনাগুলো লেখার দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য ৫ লাখ টাকা হিসাবে মোট আনুমানিক ব্যয় হবে ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
যে প্রকল্পের আওতায় কাজগুলো করা হবে সেই মূল প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। নতুন করে ২০২৭ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ১৫৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। নতুন করে ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৪৩০ কোটি টাকা। প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
Advertisement
৩৫৬টি বিদালয়ের মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতকরণ ও মাটি পরীক্ষা, ১৩২টি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দন করা, উত্তরাতে ৩টি ও পূর্বাচলে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন ও ১০টি বিদ্যালয়ের মেরামতসহ অবকাঠামো উন্নয়ন করে দৃষ্টিনন্দন করা।
এমওএস/এমএইচআর/জেআইএম