দেশজুড়ে

আওয়ামী লীগ নেতার মার্কেট-অফিস দখলে নিলেন বিএনপি নেতা

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস ও মার্কেট দখল করার অভিযোগ উঠেছে মো. খোকন (৫০) নামের স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।

Advertisement

অভিযুক্ত খোকন চাটখিল পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই ওয়ার্ডের সোহরাগাজী হাজী বাড়ির মৃত সৈয়দুর রহমান ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেকেই গা ঢাকা দেন। চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেনও এলাকা ত্যাগ করেন। এ সুযোগে বিএনপি নেতা খোকন তার লোকজন দিয়ে প্রথমে দোতলায় অফিস ও পরে পুরো মার্কেট দখল করে নেন।

মার্কেটের ভাড়াটিয়া রাজধানী হোটেলের মালিক লোকমান হোসেন বলেন, ‘এক বছর আগে আওয়ামী লীগ নেতা বেলায়েত হোসেনকে দুই লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে মাসিক পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপি নেতা খোকন এসে মার্কেটে তালা লাগিয়ে দখল করেন নেন। এখন তিনি আমাদের মার্কেটে ঢুকতে দিচ্ছেন না।’

Advertisement

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আতিক উল্লাহ নামের একজনের কাছ থেকে জমি কিনে এখানে আমরা মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছি। প্রতিবছর জায়গাটির খাজনাও দিয়ে আসছি। পরিস্থিতির কারণে এখন বিএনপি নেতা খোকন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মার্কেটটি দখল করে নিয়েছেন। আমি এর বিচার চাই।’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. খোকন মার্কেট দখলের বিষয়টি জাগো নিউজের কাছে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ জায়গা আমাদের মালিকানা সম্পত্তি। একসময় আওয়ামী লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন মার্কেটটি ভাড়া নিয়ে পরে দখল করে নিয়েছেন। এখন আমি আমাদের মার্কেট বুঝে নিয়েছি। তবে ভাড়ার চুক্তিপত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা নেই।

চাটখিল উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ বলেন, ‘দলীয় প্রভাব বিস্তার করে কোনো ধরনের অন্যায়ের বিষয়ে কঠিনভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড। দলের কারও বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, মার্কেট দখলের বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জিকেএস