টাঙ্গাইলের বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতিকে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছিলেন গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড়মনি। দলীয়করণের মাধ্যমে সাধারণ শ্রমিক ও মালিকদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।
তারা জানান, প্রতিদিন আনন্দ ভ্রমণের নামে ৫০ টাকার কুপন বানিয়ে সেই টাকা থেকে ৪০ টাকা ভ্রমণ খরচ দেখিয়ে ১০ টাকা করে তার নিজ পকেটে নিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে মালিক সমিতির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক বলেন, ২০১৩ সালের পূর্বে টাঙ্গাইল জেলা বাস মালিক সমিতি ও টাঙ্গাইল জেলা লাক্সারি মিনিবাস মালিক সমিতি নামে দুটি আলাদা পৃথক সমিতি শ্রম মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রেশন ছিল। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবে বড়মনি ও ছোট মনির দুটি সমিতিকে একত্রিকরণসহ রাজত্ব কায়েম করে। সর্বশেষ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড়মনি বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব করে অবৈধ ভাবে নতুন কমিটি গঠন করে দেন। যা আজও বহাল আছে। জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি ছাত্র হত্যা ও একাধিক ধর্ষণ মামলার আসামী।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বড় মনি ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন যা টাঙ্গাইলবাসীসহ সারাদেশের মানুষ দেখেছেন। আমরা এ দলীয়করণ বাদ দিয়ে একটি গঠন মূলক কমিটি চাই। বড় মনি ও ওই কমিটির নেতারা মোট ৮১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, আমরা মালিকরা ওই টাকা ফেরত চাই।
আরএইচ/জিকেএস