রাজনীতি

খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি বিএনপি নেতা

রাজধানীর উত্তরা-পশ্চিম থানায় গত ৮ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। ২০১৫ সালের এক ঘটনার জেরে ৯ বছর পর করা এ মামলার বাদী সাবেক যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর। তবে মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির এক নেতাকেও আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

Advertisement

বিষয়টির সুরাহা চেয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা মো. ইসহাক মিয়া। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের ৫২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি। মামলায় তিনি ৭৯ নম্বর আসামি।

ইসহাক মিয়ার অভিযোগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি সামনে রেখে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছে। সেখানে তাকে মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছে একটি মহল।

রুহুল কবির রিজভীকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে ইসহাক মিয়া লিখেছেন, তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে তুরাগের হরিরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির নানান পদে ছিলেন। একই সঙ্গে গত ১৮ বছরে তুরাগ থানায় ৭টি এবং উত্তরার দুই থানায় ৮টি রাজনৈতিক মামলায় তিনি আসামি। একটি মামলায় তাকে ৩০ মাসের সাজাও দেওয়া হয়েছে। অথচ এখন তাকে অনুপ্রবেশকারী সাজানো হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন ২৪ ঘণ্টায় সাবের হোসেন কীভাবে মুক্তি পেলেন: প্রশ্ন রিজভীর  এভাবে চলবে না, সরকারকে রিজভী 

গত ৮ অক্টোবর করা মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় উত্তরা যান। সেদিন উত্তরা ৩নং সেক্টরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

মামলার শেষ লাইনে বলা হয়, ‘হামলার ঘটনাটি সেদিন (১৯ এপ্রিল ২০১৫) প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারও করা হয়’। তবে সেই দিনের বা পরের দিনের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় উত্তরায় খালেদা জেয়ার বহরে হামলার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র খালেদা জিয়াকে কালো পতাকা দেখানোর খবর পাওয়া যায়।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, ওইদিন উত্তরায় খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে কোনো হামলা হয়নি। ভুল দিন-তারিখ ও ইচ্ছামতো আসামিদের নাম দিয়ে মামলা করায় মামলাটি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

জানতে চাইলে ইসহাক মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমি এর সুরাহা চেয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মামলার বাদী এস এম জাহাঙ্গীরকে কয়েক দফা কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তাকে এসএমএস পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

এএএইচ/কেএসআর/জিকেএস