‘প্রধান উপদেষ্টাকে অভিযোগ/আওয়ামী লীগ নেতাদের দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন বিএনপি নেতা’ শিরোনামে গত ২ অক্টোবর প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এস এম জাকির হোসেন ওরফে সাজ্জাদ হোসেন জাকির ও আব্দুল হান্নান।
Advertisement
প্রতিবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে, এস এম জাকির হোসেন ২০১২ সালের ৩ মে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয়তাবাদী যুবদলের বিমান বন্দর থানা শাখার কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে স্থান পান। আর আব্দুল হান্নান যুবদলের কর্মী। তাদের দুজনকে নিয়ে যেভাবে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা একপাক্ষিক, একপেশে ও উদ্দেশ্যমূলক। রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক কোন্দলের কারণে একটি কুচক্রী মহল তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের সংবাদ প্রচার করাচ্ছে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাছাড়া প্রকাশিত সংবাদে জাকিরের বক্তব্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে যা তিনি জাগো নিউজের কোনো প্রতিবেদককে দেননি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: সংবাদটি করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল হকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে। প্রতিবেদনটি একপাক্ষিক, একপেশে ও উদ্দেশ্যমূলক নয়। কোনো মহলের প্রভাবিত হয়ে এই প্রতিবেদন করা হয়নি।
Advertisement
জাকির ও হান্নান নিজেদের যুবদলের নেতাকর্মী পরিচয় দিলেও ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার শাসনামলে ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত সাহারা খাতুন ও হাবিব হাসানের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। তারা দুজনই আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈমের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র হত্যার অভিযোগে গত ২৩ আগস্ট বিমান বন্দর থানায় ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। ওই মামলার ১ নম্বর আসামি কাউন্সিলর নাঈম এবং ৫৩ নম্বর আসামি হলেন জাকির।
প্রতিবেদনে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক (বিলুপ্ত) আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু ও জাকিরের বক্তব্য আছে। মুঠোফোনে নেওয়া তাদের বক্তব্যের রেকর্ড জাগো নিউজের কাছে আছে।
জাগো নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ৭ অক্টোবর টিপুর দলীয় পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে বিএনপি।
এএএইচ/এমএমএআর/জিকেএস
Advertisement