স্বাস্থ্য

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ

আজ ১০ অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিনটি। এ বছর দিবসটির প্রতিপ্রাদ্য- ‘কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য, অগ্রাধিকার দেওয়ার সময় এখনই’।

Advertisement

সারাবিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ পালন করা হয়।

বাংলাদেশে বর্তমানে কতজন মানুষ মানসিক রোগে ভুগছেন এ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে গত পাঁচ বছরে কোনো জরিপ বা গবেষণা নেই। তবে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এ বছরের চলতি অক্টোবর পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৪৪ জন। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ৬৫৮ জন শিশু-কিশোর। শতাংশের হিসেবে এ হার ১০ শতাংশ। এদের বেশিরভাগেরই কনডাক্ট ডিজঅর্ডার বা আচরণগত সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত পরিশ্রম, কম পারিশ্রমিক, কর্মী ছাঁটাই, কর্মক্ষেত্রে অসন্তুষ্টি, সহকর্মীদের অসহযোগিতা, দারিদ্র্য ও সামাজিক অবস্থান হারানোর ভয়ে মূলত কর্মীরা বিষণ্নতায় ভোগেন। কর্মক্ষেত্রে প্রতি পাঁচজনে একজন মানসিক সমস্যায় ভোগেন। আর তাদের মধ্যে গুরুতর মানসিক অসুস্থতার জন্য ৮০ শতাংশ কাজ হারান।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তথ্যে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের বেশিরভাগই কর্মক্ষম। পরিশ্রমী ও দায়িত্বশীল হওয়া সত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে এর স্বীকৃতি না পাওয়া, কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ, অতিরিক্ত পরিশ্রম ও হতাশায় তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত।

Advertisement

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করেন, মানসিক রোগ দুই ধরনের। এর মধ্যে গুরুতর হলো সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতা, আলঝেইমারস। আর সাধারণ মানসিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, শুচিবায়ু, ফোবিয়া বা ভীতি ও বিষণ্নতায় ভোগা। বাইপোলার ডিজঅর্ডার দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সমস্যা। ওষুধ বা চিকিৎসার মাধ্যমে রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয় না।

এদিকে, দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট পৃথকভাবে সভা, সেমিনার ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, উন্নত বিশ্বে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে গড়ে প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী শুধু বিষণ্নতার কারণে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এতে বছরে গড়ে ৩৬ কর্মদিবস নষ্ট হয়। এসব রোগীদের ৫০ শতাংশ চিকিৎসাসেবা নেন না। অনেক সময় মানসিক সমস্যার কথা মুখ ফুটে বললে চাকরি হারানোর ভয় থাকে।

এমকেআর/এএসএম

Advertisement