মতামত

কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য: এখনই গুরুত্ব দিতে হবে

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস প্রতি বছর ১০ অক্টোবর পালিত হয়, যা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং মানসিক সুস্থতার পক্ষে প্রচারণা চালানোর একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। ১৯৯২ সালে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য ফেডারেশন (World Federation for Mental Health) এই দিবসটির সূচনা করে, যা আজ বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে।

Advertisement

বছরের পর বছর, এই দিবসটি আরও গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে এবং অনেক দেশ ও প্রতিষ্ঠান মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কুসংস্কার দূর করা এবং মানসিক অসুস্থতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা চালানোর লক্ষ্যে এই দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

২০২৪ সালের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের থিম হলো ”Mental Health at Work” (কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো এই বছর কর্মক্ষেত্রের সাথে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্কের ওপর জোর দিচ্ছে। আমরা আমাদের জীবনের অনেকটা সময় কর্মক্ষেত্রে ব্যয় করি এবং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ আমাদের মানসিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

বাংলাদেশের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই কুসংস্কার এবং ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। ফলে মানসিক সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক কর্মী মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে সমস্যায় ভুগলেও, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মক্ষেত্রের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে তারা প্রায়শই সাহায্য নিতে দ্বিধা করেন।

Advertisement

সহায়ক, নিরাপদ এবং সমর্থনমূলক কর্মক্ষেত্র মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে, কর্মক্ষেত্রে অপমান, বৈষম্য, হয়রানি অথবা খারাপ কাজের পরিবেশ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। এসব চ্যালেঞ্জের ফলে ব্যক্তি জীবনে হতাশা, উদ্বেগ ও বিভিন্ন মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা কাজের দক্ষতা ও মানের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব এই কারণেই যে, একজন কর্মীর মানসিক সুস্থতা তার কর্মদক্ষতা এবং কাজের প্রতি মনোযোগকে প্রভাবিত করে। সুস্থ এবং সমর্থিত কর্মীরা স্বাভাবিকভাবেই বেশি উৎপাদনশীল, কাজে মনোযোগী এবং কর্মক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতা ও উদ্ভাবনশীলতায় উৎসাহী হন।

কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য উপেক্ষা করলে এর বিপরীত প্রভাব পড়ে; কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, অনুপস্থিতি বেড়ে যায়, কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং প্রায়শই কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দেন। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত না হলে দীর্ঘমেয়াদে কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। এই দিনটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে ওঠে এবং মানসিক সুস্থতার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগকে প্রচারিত করে।

Advertisement

প্রতিটি বছর একটি বিশেষ থিমের অধীনে এই দিবসটি পালিত হয়, যা মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট দিক তুলে ধরে। এই বছর কর্মক্ষেত্রের মানসিক স্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করে দিনটি পালিত হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা তুলে ধরার মাধ্যমে, কর্মীদের মানসিক চাপ এবং অন্যান্য মানসিক অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে উন্নত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করতে হলে কর্মস্থলে সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যা কর্মীদের মানসিক চাপ কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়ক হবে। এজন্য প্রয়োজন নীতি প্রণয়ন, যেখানে কর্মীদের মানসিক সুস্থতা গুরুত্ব দেওয়া হবে। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বের ভারসাম্য, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি এবং কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে সঠিক সামঞ্জস্য বজায় রাখা মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত করতে সহায়ক।

এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য, হয়রানি এবং অন্য সমস্যাগুলোও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ধরনের সমস্যা দূর করতে, কর্মস্থলের নেতৃবৃন্দকে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্বচ্ছ সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে, যেখানে প্রতিটি কর্মী সম্মানিত এবং সমানভাবে মূল্যায়িত হবেন।

মানসিক স্বাস্থ্য উপেক্ষার অর্থনৈতিক প্রভাবও খুবই গুরুতর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার ক্ষতি করে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে সৃষ্ট উৎপাদনশীলতার ঘাটতির কারণে। কর্মীদের মানসিক অসুস্থতা তাদের কাজের দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেবল একটি নৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিকভাবেও জরুরি।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠছে, যা প্রায়শই উপেক্ষা করা হয়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে কিছুটা সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা এবং উদ্যোগ এখনো সীমিত। বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তনশীল চাহিদা, কর্মীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়িয়ে তুলেছে, যা প্রায়ই অবহেলিত থেকে যায়। কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, অপ্রয়োজনীয় কাজের চাপ এবং কাজের অনিশ্চয়তা অনেক ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রের অবস্থা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিশেষ করে বেসরকারি খাতের অনেক কর্মী লম্বা সময় কাজ করেন এবং কাজের চাপের পাশাপাশি কাজের পরিবেশও মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিল্প খাত যেমন পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা প্রায়শই নিম্নমানের কাজের পরিবেশে কাজ করেন, যেখানে শারীরিক এবং মানসিক উভয় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

এ ধরনের পরিস্থিতি শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে কর্পোরেট অফিসের কর্মীরাও দীর্ঘ সময় কাজ করার ফলে প্রায়ই মানসিক চাপের শিকার হন। নির্ধারিত সময়ের বাইরেও কাজ করা, অস্পষ্ট কর্মজীবন এবং ব্যক্তিজীবনের মধ্যে ভারসাম্য এবং কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির অনিশ্চয়তা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বাংলাদেশের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই কুসংস্কার এবং ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। ফলে মানসিক সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক কর্মী মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে সমস্যায় ভুগলেও, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মক্ষেত্রের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে তারা প্রায়শই সাহায্য নিতে দ্বিধা করেন। মানসিক সমস্যাকে দুর্বলতার লক্ষণ হিসেবে দেখা হয় এবং কর্মীরা আশঙ্কা করেন যে মানসিক অসুস্থতার কথা প্রকাশ করলে তাদের কাজের সুযোগ বা পদোন্নতি প্রভাবিত হতে পারে।

বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও, তা এখনও পর্যাপ্ত নয়। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাউন্সেলিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই সীমিত এবং অনেক ক্ষেত্রে এসব সেবা কর্মীদের কাছে সহজলভ্য নয়।

কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে নীতি তৈরি এবং বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ প্রায় অনুপস্থিত। মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কর্মশালা, প্রশিক্ষণ এবং মনো-স্বাস্থ্য সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমানোর জন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করছে, যা কর্মীদের মানসিক চাপ মোকাবিলা এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া, বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থাও বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে, যা এ সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে।

বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করার জন্য, প্রথমেই দরকার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা এবং কুসংস্কার দূর করা। কর্মক্ষেত্রে সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা, কর্মীদের মানসিক চাপ কমানোর জন্য নীতি প্রণয়ন করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সেবা সহজলভ্য করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে শুধু সরকার নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলোরও সমান ভূমিকা থাকা উচিত।

এছাড়া কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি দায়িত্ব শুধু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নয়, কর্মীদেরও নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সেবা প্রদান করতে পারে, যেমন কাউন্সেলিং, কর্মচারীদের সহায়তা কর্মসূচি এবং মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ। কর্মীদেরও উচিত তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দেওয়া এবং সঠিকভাবে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখা।

এ বছরের থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমানোর কিছু সহজ উপায় আছে। মাইন্ডফুলনেস বা মননশীলতা চর্চা করে কর্মীরা তাদের মানসিক শান্তি বজায় রাখতে পারেন। এছাড়া দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত শরীরচর্চা করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো, এবং সময় ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা মানসিক চাপ কমানোর ভালো উপায়। পাশাপাশি, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলাও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করা এবং কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া সময়ের প্রয়োজন। বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, কর্মক্ষেত্রের প্রতিযোগিতা এবং কর্মজীবনের চাপে মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত করা অত্যন্ত জরুরি। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে, বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও উৎপাদনশীল কর্মশক্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে, যা দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৪ সালের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আমাদের কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে সহায়ক হবে। মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করতে হলে কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা, সহায়ক নীতি প্রণয়ন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্র আরও মানসিকভাবে সুরক্ষিত ও উন্নত করা সম্ভব।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী।

এইচআর/ফারুক/এএসএম