জাতীয়

পোল্ট্রি শিল্পে বৈষম্য দূর করার দাবি খামারিদের

একদিনের মুরগীর বাচ্চার যৌক্তির দাম নির্ধারণ, ফিডের দাম কমানোসহ পোল্ট্রি শিল্পে বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছে প্রান্তিক খামারিরা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টাকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।

Advertisement

বুধবার (৯ অক্টোবর) প্রান্তিক খামারিদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। এ সময় চট্টগ্রাম জেলার প্রান্তিক খামারিদের পক্ষে আবদুস সালাম, সরওয়ার আলম, মো. মুজাম্মেল, মো. আজম, রিটন চৌধুরী, তৈয়ব তাহের উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে পোল্ট্রি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের মাংসের মোট চাহিদার ৪০-৪৫ শতাংশ পোল্ট্রি শিল্প থেকে পূরণ করা হয়। কিন্তু এ খাতের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় হ্যাচারি ও ফিড মিল কোম্পানির স্বেচ্ছাচারিতা ও সিন্ডিকেটের কারণে বাচ্চা ও খাদ্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বমূল্যের কারণে পোল্ট্রি খাত ধ্বংসের মুখোমুখি।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কিছু হ্যাচারি মালিক ইচ্ছেমতো মুরগীর বাচ্চার মূল্য নির্ধারণ করে। এতে বাচ্চার মূল্য কখনো ৩০ টাকা আবার কখনও ৭০ টাকা হয়ে যায়। বাচ্চার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

Advertisement

গত করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ দেখিয়ে পোল্ট্রি ফিডের উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাতে ফিডমিলগুলো সবধরনের ফিডের মূল্য ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। পরে সরকার ট্যাক্স হ্রাসের সুবিধা দেয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও ফিডের মূল্য আমাদের দেশে কমানো হচ্ছে না। এতে প্রকৃত খরচের ভিত্তিতে ফিডের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করার দাবি জানান খামারিরা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে ডিম ও ব্রয়লার মুরগীর বাজার মূল্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। হাতবদলের মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও ক্ষুদ্র খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। খামারিরা পুঁজি বিনিয়োগ করে পরিশ্রম করেও লাভের মুখ দেখেন না। কয়েক দফা হাতবদল হওয়ার কারণে ভোক্তা পর্যায়েও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। প্রান্তিক খামারিদের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণশুনানি করে ডিম ও ব্রয়লার মুরগীর যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানান খামারিরা।

পাশাপাশি পোল্ট্রি খামারে বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ রিবেট, হ্রাসকৃত ট্যারিফে বিদ্যুৎ সুবিধা, কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের কন্ট্রাক্ট খামার পরিচালনা বন্ধ, পোল্ট্রি খামারকে বীমার আওতায় আনা, ভেটেরিনারি ডাক্তার বাড়ানো এবং পোল্ট্রি রপ্তানির সুযোগ বাড়ানোর দাবি জানান প্রান্তিক খামারিরা।

এমডিআইএইচ/এমআরএম/জেআইএম

Advertisement