জাতীয়

আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের আহ্বান

শিক্ষার্থী জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ভুক্তভোগীদের সুচিকিৎসা, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে দ্রুত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে যেন তারা দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবন্ধিত্বের হাত থেকে রক্ষা পায়।

Advertisement

পাশাপাশি সব আহতদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নিতে একটি রূপরেখা ঠিক করতে হবে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩: বাস্তবায়ন ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভায় আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশ লিগাল এইড সার্ভিস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), উইম্যান উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডব্লিউডিডিএফ) আয়োজিত সভা সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম। সূচনা বক্তব্য দেন ব্লাস্টের উপদেষ্টা আহমাদ ইব্রাহিম।

Advertisement

বক্তারা বলেন, জুলাই আন্দোলনে অধিদপ্তরের হিসেবে প্রায় ২৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তবে আহতদের এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিতে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। আশ্বাস দেওয়ার পরেও কার্যকরী তেমন কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

এছাড়া চিকিৎসা দিলেই হবে না তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করতে হবে কারণ অনেকেই কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। তাদের অধিকার নিশ্চিত এ স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, এক্ষেত্রে প্রয়োজনে বেসরকারি কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ লেবার স্টাডিজ (বিলস) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিতের পাশাপাশি যথাযথ মূল্যায়ন করে আহতদের অধিকার রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

মতবিনিময় সভায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এর বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং তা সমাধানের আহ্বান জানানো হয়।

এসআরএস/এমআরএম/জিকেএস

Advertisement