জামালপুরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বিদ্যুৎ ছিল না গত চারদিন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ চারদিনে বিদ্যুৎ না থাকায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক জরুরি আলোচনা সভায় ইন্টার্ন চিকিৎসক এম এ কাভি সেকান্দর আলম বলেন, বিদ্যুতের ভোগান্তির কারণে হাসপাতালে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহের দুটি ট্রান্সফরমার থেকে একটি পুড়ে যায়। তখন থেকেই বাকি একটি ট্রান্সফরমার দিয়ে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় হাসপাতালে। এজন্য চরম ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী, চিকিৎসক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সারাদিনে ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা। তবে বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।
মারা যাওয়া এক শিশুর বাবা মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটার বাসিন্দা সোলায়মান বলেন, ‘আমার নবজাতক শিশুকে ঠান্ডাজনিত কারণে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় সঠিক সেবা দিতে পারেননি ডাক্তার-নার্সরা। এতে আমার সন্তান মারা গেছে।’
Advertisement
ইসলামপুরের বাসিন্দা ইউসুফ শেখ বলেন, ‘শনিবার শ্বাসকষ্টজনিত কারণে আমার শিশুর মৃত্যু হয়। তখনো দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ ছিল না। এতে আমার বাচ্চার সেবা দেওয়া ব্যাহত হয়েছে।’
এ বিষয়ে জামালপুর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি সঠিক নয়। শিশু ওয়ার্ডের স্কেনোতে (স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট) স্বাভাবিকভাবেই দু-একজন মারা যায়। তবে বিদ্যুতের জন্য রোগীদের সেবা দিতে খুবই অসুবিধা হয়েছে সত্য।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বলেছেন, বিদ্যুতের কারণে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তিনি কেন এমন মন্তব্য করলেন তার ব্যাখ্যা চাইবো।
এসআর/জিকেএস
Advertisement