দেশজুড়ে

নোয়াখালী মেডিকেলের সাবেক অধ্যক্ষসহ দুজনের নামে মামলা

নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আবদুস ছালামসহ দুজনের বিরুদ্ধে সরকারি আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদি হয়ে মামলাটি করেন। পরে তিনি মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অপর আসামি হলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুর খিলজি রোড এলাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের মালিক আফসানা ইসলাম। তিনি নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার কামারগ্রাম এলাকার মাহাবুবুল ইসলামের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি ঢাকার শ্যামলী এলাকার পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবদুস সালাম বাজার দর গোপন করে ১৭ হাজার ৯৮০ বর্গফুট সিলিংয়ের কাজে প্রতি বর্গফুট পাঁচ হাজার ৯৫০ টাকা করে মোট ১০ কোটি ৬৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজকে পরিশোধ করেন। এতে এক কোটি ৭২ লাখ ছয় হাজার ৮৫৮ টাকা ভ্যাট ও আয়কর কর্তন করে ঠিকাদার পায় আট কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪২ টাকা।

Advertisement

দুদক অনুসন্ধান করে জানতে পারে, গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী উক্ত কাজের প্রতি বর্গফুটে খরচ লাগে ২১৪.৪৮ টাকা। এতে ১৭ হাজার ৯৮০ বর্গফুট সিলিংয়ের কাজে ব্যয় হওয়ার কথা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা। ফলে সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবদুস ছালাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আফসানা ইসলাম পরস্পরের যোগসজশে অবৈধভাবে আর্থিক লাভবানের আশায় অতিরিক্ত বাজার দর দেখিয়ে সিলিংয়ের কাজে সরকারি অতিরিক্ত আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে।

দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে বাদির লিখিত অভিযোগ পেয়ে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুই আসামির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা (নম্বর-২) হয়েছে।

দুদকের নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, নির্মাণ করা সিলিং ডেকোরেশনের কাজটি প্রকৌশলীয় নির্মাণ কাজ হলেও অসৎ উদ্দেশ্যে আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তা ফার্নিচার গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করে দরপত্র আহ্বান করে। যাতে বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আবদুস ছালাম দরপত্র আহ্বান কমিটির সভাপতি হিসেবে সরাসরি যুক্ত।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও তৎকালীন অধ্যক্ষ ডা. আবদুস ছালামের চাপে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কোনরূপ যাচাই বাছাই না করে কিংবা কোনরূপ নোট অব ডিসেন্ট না দিয়ে প্রকৌশল সংক্রান্ত নির্মাণ কাজের বিষয়টি অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তদন্তে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরও আসামির তালিকায় যুক্ত করা হবে।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/এএইচ/জেআইএম