গ্রামীণ অর্থনীতিতে ছাগল পালনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ এটি অনেকের উপার্জনের প্রধান মাধ্যম। তাই খামারিরা ছাগলের পাশাপাশি মুরগিও পালন করতে পারেন। এতে তাদের খরচ কম হবে এবং লাভ বেশি হবে। ছাগলের পাশাপাশি মুরগি পালন করলে খরচ অর্ধেক হবে এবং ডিম ও মুরগি পাওয়া যাবে।
Advertisement
মুরগি ও ছাগল পালনের জন্য একটি বিশেষ ধরনের শেড তৈরি করতে হবে। শেডটিতে মুরগি ও ছাগল একসঙ্গে থাকবে। শেডটিকে দুই ভাগে ভাগ করতে মাঝখানে একটি লোহার জাল লাগাতে হবে। এমনকি মুরগি বের হওয়ার জন্য একটি ছোট দরজা রাখতে হবে। যখন ছাগলগুলোকে চরাতে নিয়ে যাবেন কিংবা পরিষ্কারের জন্য শেডের মধ্যে যাবেন; তখন জাল লাগানো ছোট গেটটি খুলে দিতে হবে। গেট খোলার পর ছাগলের জায়গায় মুরগি চলে আসবে। ছাগলের শেডের উচ্ছিষ্ট মুরগিরা খুব ধুমধাম করে খাবে।
আরও পড়ুন চলনবিলে শামুক কুড়িয়ে চলে সংসার কৃষিকাজে অ্যাকোয়াপনিক্স পদ্ধতি খাবারের দাম কমেছাগলকে নিম, কাঁঠাল এবং পেয়ারার মতো সবুজ পাতার পাশাপাশি ওষুধি গুণসম্পন্ন পশুখাদ্য দেওয়া হয়, যা ছাগলকে অনেক বড় রোগ থেকে রক্ষা করে। ছাগলেরা অবশিষ্ট পশুখাদ্য ফেলে দেওয়ার পর মুরগি তা খেয়ে ফেলে। একটি মুরগি দিনে প্রায় ১১০-১৩০ গ্রাম শস্য খায়। একই সঙ্গে মুরগি ও ছাগল পালন করলে মুরগির খাবারের খরচ ৩০-৪০ গ্রাম কমে যায়।
কম্পোস্ট সার তৈরিযদি ১ একর জমিতে ছাগলের সঙ্গে মুরগি পালন করেন, তাহলে কম্পোস্ট সার তৈরি করতে পারবেন। ছাগলের গোবর ও মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার করে কৃষকেরা জৈব সার তৈরি করতে পারবেন। এছাড়া এ কম্পোস্ট থেকে ভালো প্রোটিন দিয়ে শ্যাওলা চাষ করতে পারবেন।
Advertisement
এসইউ/জিকেএস