ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে উলুধ্বনিতে ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ থেকে। চট্টগ্রামে এবার শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২ হাজার ৪৫৮টি মণ্ডপে। এর মধ্যে মহানগরে ২৯৩টি ও জেলার ১৫টি উপজেলায় দুই হাজার ১৬৫টি আনুষ্ঠানিক মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গাপূজা হচ্ছে বেশ কিছু পারিবারিক মণ্ডপেও।
Advertisement
চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১৫টি উপজেলায় দুই হাজার ১৬৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রতিমা পূজা ১ হাজার ৫৯৪টি বাকিগুলো ঘটপূজা। পূজামণ্ডপের মধ্যে আনোয়ারা উপজেলায় ২৯৯টি, কর্ণফুলীতে ২৮টি, মিরসরাইয়ে ৯০টি, সীতাকুণ্ডে ৬৭টি, সন্দ্বীপে ৩০টি, ফটিকছড়িতে ১২৩টি, হাটহাজারীতে ১১৪টি, রাউজানে ২২৮টি, রাঙ্গুনিয়ায় ১৬১টি, বোয়ালখালীতে ১৪৬টি, পটিয়ায় ১৯৫টি, চন্দনাইশে ১২৮টি, সাতকানিয়ায় ১৮৪টি, লোহাগাড়ায় ১১১টি, বাঁশখালীতে ২৫০টি।
অন্যদিকে নগরীর ১৬টি থানা এলাকায় ২৯৩টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি নিতাই প্রসাদ ঘোষ বলেন, ‘পূজা উদযাপনের সার্বিক নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অধিকাংশ মণ্ডপে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম পূজামণ্ডপ ঘিরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
Advertisement
‘পূজা উদযাপনে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসারসহ সরকারি সব সংস্থা পূজার আয়োজনে সহযোগিতা করছেন। তারা আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছেন, সভা করছেন।’- নিতাই প্রসাদ ঘোষ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় টহল দিচ্ছে।’
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পূজার সার্বিক নিরাপত্তায় প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মণ্ডপগুলোয় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোর পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড নিয়োজিত আছে।’
এএজেড/এমআরএম/জেআইএম
Advertisement