সাহিত্য

জিহ্বাকে জল-খাবার দাও

কেন এই বিলাপ?আঁধারের বুকে ধূসরের আহাজারি!ভোরের অপেক্ষা করতে করতে যে জীবন, যৌবনেই বার্ধক্য ছুঁয়ে দিয়েছেতাকে চলতে দাও।গল্পের বয়ানে কমা বসানো জীবনেআর কোনো বিরতি না আসুক।যদি ইচ্ছেই থাকে, তবেকোনো এক আড়ম্বরহীন দীর্ঘশ্বাসেসে জীবন তার গল্পে পূর্ণচ্ছেদ বসাবে।

Advertisement

ভালোবাসি বলতে বলতে যে জিহ্বাশুষ্কতায় লালার খোঁজে ব্যস্ততাকে থামিয়ে দাও, সাবধান করো,প্রয়োজনে সাইরেনের আশ্রয়ে জানিয়ে দাওপরিকল্পিত পথ শ্বাপদসংকুল।গৌরবের আচ্ছাদনে দৃষ্টিসীমানায় ভিড় করছেবিকৃত মনের খর্বিত মাথা, মাথায় দুশ্চিন্তাকূটকৌশলের মানহীন ফাঁদ।

পাখি-জাগা ভোরের আগেযদি কানে ভেসে ওঠে সুরের আবেদনকণ্ঠকে মুক্ত করো না, ভেসে যেও না,জগতের সব সুরই যে অসুরের শক্তি নিয়েধ্বংসের পথে আগুয়ান।

একটা নীল ভোরের আচ্ছন্নতার মাঝেওঅজানার সন্দেহময় সকালের প্রত্যাশায়এ ছুটে চলা যে অসীমের দিকে।কার্নিশে হাত রাখা প্রেয়সীতে আটকানোটিকটকার যুগের রমণীরা কি আর তা বোঝে?

Advertisement

যদি দুর্বোধ্যতা বিচ্ছুরিত হয়,বার্নিশে মেশা তারপিন বালিপস্টিক-লিপগ্লোসমার্কা চাটুকারি রেখেপ্রাকৃতিক ভেষজ ভেবে ‘ভালোবাসি’ বলো,রুক্ষ-ক্ষুধার্ত জিহ্বা সুখী আত্মার গানের নেশায়অভুক্ত, ক্ষুধার্ত ও অস্থিরতাকে একটুখানি জল-খাবার দাও।

এসইউ/এমএস