কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে এসে মেরিন ড্রাইভ পেরিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ৩৭ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
Advertisement
আটক রোহিঙ্গাদের মাঝে ২১ জন শিশু, ১২ জন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রামে।
আটকদের মাঝে রোহিঙ্গা রেজিয়া বেগম বলেন, আরাকান আর্মি আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের গ্রামে বিমান হামলা করে, এতে অনেকেই মারা গেছে। তাই প্রাণে বাঁচতে মিয়ানমারের নাফ নদীর তীরে আসি। সেখান থেকে একটা ট্রলারে করে বাংলাদেশে চলে আসি। আমাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে দালালরা।
আরেক নারী ফাতেমা বেগম বলেন, বেশি জুলুম করছে আরকান আর্মি। সবার সামনে অনেক মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। টাকা পয়সা গহনা কেড়ে নিয়ে নিচ্ছে। নিরুপায় হয়ে নাফ নদীর কিনারে গিয়ে কান্না করলে একটি নৌকা আমাদের তুলে নিয়ে বাংলাদেশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
Advertisement
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, দালাল চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসে। পরে তাদের বাংলাদেশ অংশের নাফ নদীর তীরে নামিয়ে দেয়। এদের মধ্য বেশিরভাগই শিশু। প্রাথমিকভাবে তাদের খাবার দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে স্থানীয়দের সহায়তায় ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে তদেরকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস
Advertisement