তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর নাইরোবি জিমখানা মাঠে স্বাগতিক কেনিয়ার বিপক্ষে। আর আগামী ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
Advertisement
এ ১৭ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সবচেয়ে হতাশাজনক মুহুর্ত কোনটি? রিয়াদের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘হতাশাজনক মুহূর্ত বললে আমি বলবো ২০১৬ সালে ব্যাঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের কথা। ওটা আমার অন্যতম হতাশার মুহূর্ত। সম্ভবত আমার জীবন বদলে দেয়া মুহূর্ত ছিল সেটা। আমি মনে করি, আমার জন্য অনেক বড় শিক্ষা ছিল সেটা।’
রিয়াদ এমনটা বলতেই পারেন। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ একদম নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হেরেছিলো সেদিন। দিনটি ছিল ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ। ব্যাঙ্গালুরু ভারতের সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ১৪৭ রানের জয়ের টার্গেট সামনে রেখে শেষ ওভারে টাইগারদের দরকার ছিল ১১ রানের। উইকেটে ছিলেন দুই ভায়রা রিয়াদ ও মুশফিক।
হার্দিক পান্ডিয়ার করা ওই ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেলস নিয়ে মুশফিককেব স্ট্রাইক দেন রিয়াদ। মুশফিক কভারের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকালে ৪ বলে দরকার পড়ে ৭ রানের। পরের বলে আবার উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনির পাশ দিয়ে থার্ডম্যানে গলিয়ে বাউন্ডারি হাঁকান মুশফিক।
Advertisement
৩ বলে দরকার ২ রানের। এরচেয়ে সহজ সমীকরণ আর কী হতে পারে? কিন্তু তখনই মতিভ্রম ঘটলো মুশফিক ও রিয়াদের। ৩ বলে ২ রান করতে মুশফিক ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে আকাশে তুলে বিদায় নেন।
২ বলে ২ রান দরকার থাকা অবস্থায় স্ট্রাইক পেয়ে রিয়াদও ভুল পথে হাঁটেন। ফুলটসে বাতাসে ভাসিয়ে মারতে গিয়ে রবিন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন রিয়াদ। শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন থাকলেও শুভাগত হোম আর মোস্তাফিজ তা পারেননি। ১ রানের করুণ ও হতাশাজনক পরাজয় বরণ করে বাংলাদেশ।
হিরো হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েও ভিলেন বনে যান রিয়াদ আর মুশফিক। তাই বিদায় বেলায় ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ ব্যাঙ্গালুরুতে ভারতের কাছে ম্যাচটির করুণ পরিনতির কথা স্মরণ করতে ভোলেননি রিয়াদ।
আর তার সেরা মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে রিয়াদ বলে ওঠেন, সেরা মুহূর্ত সম্ভবত নিদাহাস ট্রফি। যে ম্যাচটা আমরা জিতলাম। ওটা আমার সেরা মুহূর্ত।
Advertisement
২০১৮ সালের ১৬ মার্চ কলম্বোর প্রেমাদাসে স্টেডিয়ামে নিদাহাস ট্রফির সেমিফাইনালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ৬ বলে ১২ রান দরকার থাকা অবস্থায় লঙ্কান বাঁ-হাতি পেসার ইসুরু উদানাকে তৃতীয় বলে বাউন্ডারি আর পঞ্চম বলে ফ্লিক করে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ২ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় উপহার দিয়েছিলেন রিয়াদ। কাজেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেটাই তার স্মরণীয় ম্যাচ।
এআরবি/আইএইচএস