দুই মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার দৃশ্যমান। উল্টোটা ক্রীড়াঙ্গনে। আলোচনা, মতবিনিময় হচ্ছে দফায় দফায়। তবে কোনো ফলাফল দৃশ্যমান নয়।
Advertisement
এক প্রজ্ঞাপনে দেশের সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ভেঙ্গে দিয়েছে সরকার। এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ৪২ ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে। তার আগে অব্যাহতি দেওয়া হয় চারজনকে। দুই ফেডারেশন সভাপতিশূন্য ছিল আগেই। সব মিলিয়ে ৪৮ ফেডারেশনে সভাপতি নেই।
চার ফেডারেশনে নেই সাধারণ সম্পাদক। এই দীর্ঘ সময়ে একটি ফেডারেশনেও সভাপতি নিয়োগ দিতে পারেনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ভেঙ্গে দেওয়া ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কোনটির অ্যাডহক কমিটি গঠন হয়েছে বলেও জানা যায়নি। সবকিছু মিলিয়ে স্থবির হয়ে আছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। ফুটবল ও ক্রিকেট ছাড়া আরো খেলা মাঠে নেই।
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গঠণ করা হয়েছে একটি সার্চ কমিটি। গঠণের পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয় সার্চ কমিটি নিয়ে। প্রথমে আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা, পরে সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুল ও পরে মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এর মধ্যে ইমরোজকে নিয়ে হকিতে হয়েছে পাল্ট-পাল্টি কর্মসূচি।
Advertisement
একজন বর্ষিয়ান সংগঠক বলেছেন, ‘ঢালাওভাবে সভাপতি অপসারণ করা ছিল অদূরদর্শিতার পরিচয়। এখন সভাপতি খুঁজে পাচ্ছে না তারা। ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের বলা হচ্ছে সভাপতি খুঁজতে। যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে নতুন সভাপতি নিয়োগ দিয়ে ফেডারেশন সচল করা উচিত ছিল। এখন তো দেখছি লেজেগোবরে অবস্থা।’
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে থাকা আওয়ামী সমর্থিতরা গর্তে ঢুকেছিলেন। ফেডারেশনের বর্তমান কর্মকতাদের সঙ্গে সার্চ কমিটির মতবিনিময়ের সুযোগে ওই সব বিতর্কিত কর্মকর্তারা গর্ত থেকে বেরিয়ে আবার প্রকাশ্যে আসা শুরু করেছেন। আওয়ামী সমর্থিত অনেকে বোল পাল্টে আবার ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে ঢোকার তদবির শুরু করছেন।
আরআই/আইএইচএস/
Advertisement