রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শান্তি ও মানবতা সব ধর্মের শাশ্বত বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায় ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে, অন্যায় ও অসত্য থেকে দূরে রাখে, দেখায় মুক্তির পথ। তাই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি আমাদের মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে।
Advertisement
আগামীকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে দেওয়া আজ এক বাণীতে তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সারাদেশে যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি অনন্য উদাহরণ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সাথে মিশে আছে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় আবহমানকাল ধরে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানান আয়োজনের মাধ্যমে দুর্গাপূজা উদযাপন করে। দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষে সমাজের সব স্তরের মানুষ একত্র হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ এ উৎসব সর্বজনীন রূপ দিয়েছে। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। শারদীয় দুর্গোৎসব সত্য-সুন্দরের আলোকে ভাস্বর হয়ে উঠুক; ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুসংহত হোক- এ কামনা করি।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় জান-মাল, অবকাঠামো, কৃষি ও প্রাণিসম্পদসহ সার্বিক জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বানভাসি মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মানবকল্যাণের জয়গানকে তুলে ধরেছে। তিনি জীবনধারণের জন্য নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, ওষুধ ও নিরাপদ পানির পাশাপাশি বন্যার্তদের পুনর্বাসন ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে আমাদের আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি একটি সুন্দর আগামী ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। বিশ্বে মানুষ ও মানবতার জয় হোক- এ প্রত্যাশা করি।’
Advertisement
এমআরএম/এএসএম