পশ্চিমবঙ্গের সরকারি আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক গণইস্তফা দিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের চলমান আন্দোলনের সমর্থনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
Advertisement
আন্দোলনকারীদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, নিহত নারী চিকিৎসকের সুবিচার, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে ‘থ্রেট কালচার’ বিলোপ এবং রোগীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা।
এই ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা গত ৬ অক্টোবর থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান অনশন করছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা ঘোষণা দেন, তাদের ১০ দফা দাবি মেনে না নিলে অনশনে যাবেন। সেই মোতাবেক গত রোববার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান অনশনে বসেন সাতজন জুনিয়র চিকিৎসক।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১২ ঘণ্টার জন্য অনশন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতীকী অনশন পর্ব চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি অনশনে শামিল হয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সিনিয়র চিকিৎসকরা যখন গণইস্তফা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন তাদের হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান জুনিয়ররা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিনিয়র চিকিৎসকদের গণইস্তফার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণ না হলে কলকাতা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরাও একইভাবে গণইস্তফা দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
নিজেদের দাবি-দাওয়া পূরণে চিকিৎসকরা যেভাবে পথে নেমেছেন, তাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল সরকার।
Advertisement
গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ধর্ষণ-খুনের শিকার হন এক শিক্ষার্থী। এরপর থেকে প্রায় দুই মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতিও পালন করেন তারা। চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে পথে নেমেছে নাগরিক সমাজের একাংশও।
ডিডি/কেএএ/