জাতীয়

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ

চুক্তিতে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ পেয়েছেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ। যিনি চুক্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

Advertisement

তাকে দুই বছরের জন্য এ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আব্দুর রশিদ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা।

‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তিনি এ নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।

শেখ আব্দুর রশিদ দেশের ২৫তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি মো. মাহবুব হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

Advertisement

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আগামী ১৩ অক্টোবর শেষ হবে। দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত টানা চারদিন বন্ধ থাকায় বুধবারই (৯ অক্টোবর) মাহবুব হোসেনের শেষ কর্মদিবস।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৭ আগস্ট চুক্তিতে দুই বছরের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। পরেরদিন তাকে সিনিয়র সচিব করা হয়।

আব্দুর রশিদ ১৯৫৭ সালের ৫ মে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি নেদারল্যান্ডসের দি হেগ শহরের ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ থেকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন। আব্দুর রশিদ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তৃতীয়স্থান অধিকার করেন। তিনি বিসিএসের ১৯৮২ ব্যাচের সম্মিলিত মেধাতালিকায় চতুর্থ ও প্রশাসন ক্যাডারে প্রথমস্থান অর্জন করেন।

আরও পড়ুন সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী সাময়িক বরখাস্ত মেয়াদ পূর্ণ করেই কি বিদায় নেবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব? ডিসি নিয়োগে ঘুস লেনদেন নিয়ে খবরকে ‘ভুয়া’ বললেন জনপ্রশাসন সচিব

আব্দুর রশিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক হিসেবে মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হন। এছাড়া তিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন।

Advertisement

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিসভা ও বিভিন্ন মন্ত্রিসভা কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মূল দায়িত্ব হচ্ছে মন্ত্রিসভা ও এর কমিটিগুলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।

এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসন তথা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাজের তদারক করে থাকে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কাজের সমন্বয় সাধনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব।

সরকারের সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের অন্যতম ফোরাম সচিব সভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ সভার সভাপতি। তাছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব সিভিল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে পদোন্নতির সুপারিশকারী সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভাপতি।

আরএমএম/এমএস