আইন-আদালত

জামিন পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী, কারামুক্তিতে বাধা নেই

গুলিতে মকবুল নামের এক বিএনপিকর্মী মৃত্যুর ঘটনায় পল্টন থানার করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া খিলগাঁও থানার দুই হত্যা মামলা ও দুই হত্যাচেষ্টা মামলা এবং পল্টন থানার আরও একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

Advertisement

তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় কারা মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মোর্শেদ আলম শাহীন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) পল্টন থানার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান ও খিলগাঁও থানার মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এ দিন পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাচান আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো উত্তর দিতে পারছেন না সাবের হোসেন সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার

আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, জিজ্ঞাসাবাদে সাবের হোসেন চৌধুরী কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারছেন না। কথোপকথনে জানা গেছে যে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও হৃদরোগে আক্রান্ত। তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না। এ জন্য আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ না করে আদালতে পাঠানো হলো।

এর আগে রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া খিলগাঁও থানার পৃথক চার হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির এক দফা দাবি আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সারাদেশের নেতাকর্মীরা যখন জড়ো হতে থাকেন তখন আসামিরা বিএনপির সমাবেশ বানচালের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জন আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। আসামিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন।

বিএনপি কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ ও গুলি করেন। এসময় মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মী আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

Advertisement

 

জেএ/এমআইএইচএস/এএসএম