রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ যেন বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে বিষয়ে কমিশন প্রস্তাবনা দেবে বলে জানিয়েছেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান। একই সঙ্গে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ নীতিমালা তৈরিতে সংস্কার কমিশন প্রধান্য দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
এছাড়া গঠিত সংস্কার কমিশন বিচারিক আদালতে বিচার কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রতা ও মামলার খরচ কমানোর বিষয়েও কাজ করবে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সংস্কার কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন বিচার বিভাগের সচিবালয় হতে হবে হস্তক্ষেপমুক্ত-স্বাধীন দ্রুত বিচারে ই-জুডিশিয়ারি, আসছে ২৬২৫ কোটি টাকার প্রকল্প‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’ নামে আট সদস্যের কমিশন গঠন করে গত ৩ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিশন ৩ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে।
Advertisement
কমিশনপ্রধান বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয়। তাই আমরা এমন কিছু সংস্কার প্রস্তাব করবো যেন জনগণের প্রকৃত উপকার হয়। পাশাপাশি প্রশাসনসহ সরকারের অঙ্গগুলো যেন বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে না পারে সে বিষয়েও প্রস্তাবনা থাকবে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাহী বিভাগ যেন বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে বিষয়ে প্রস্তাবনা দেবে কমিশন, জানান সংস্কার কমিশনের অন্য সদস্যরাও।
বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
Advertisement
কমিশনপ্রধান ছাড়াও কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মাজদার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপন ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
এফএইচ/এমকেআর/এএসএম