অবিলম্বে নিবর্তনমূলক এবং নিপীড়নমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল; আইনের আওতায় বিদ্যমান সব মামলা প্রত্যাহার, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে হয়রানিকারীদের বিচার এবং ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি উঠেছে।
Advertisement
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিজিটালি রাইট, নাগরিক এবং জাতিসংঘের স্থানীয় প্রতিনিধিদের আয়োজনে বাতিলযোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আইন: জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সভাপতি অধ্যাপক সি আর আবরারের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদনায় লিখিত ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন মানবাধিকারকর্মী রেজাউল রহমান লেনিন।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত ৩ অক্টোবর বলেন, এ আইন বাতিল হবে। সাইবার সুরক্ষা দিতে নতুন আইন করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের আওতায় হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
বক্তারা বলেন, কেবল আইন বাতিল নয়, আইনের আওতায় বিদ্যমান সব মামলা প্রত্যাহার, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দিয়ে হয়রানিকারীদের বিচার এবং সব ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নিরাপত্তা আইন বাতিল হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে প্রক্রিয়ার নামে বিলম্ব করা যাবে না। সব মামলা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
সি আর আবরার বলেন, নাগরিক হিসেবে আমাদের নিজেদের ডিভাইসের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে যাতে যে কেউ নিজের খেয়াল খুশি মতো এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।
এসআরএস/এমএইচআর/এএসএম
Advertisement