দক্ষিণাঞ্চলের পর শেরপুর, ময়মনসিংহসহ পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলা বন্যাকবলিত। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। জেলাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকটসহ নানান সমস্যা। শ্বশুরবাড়ির অঞ্চলের বন্যাকবলিত মানুষদের পাশে এগিয়ে গেছেন কণ্ঠশিল্পী সালমা। বন্যাদুর্গতদের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার লোকের জন্য খিঁচুরি রান্না করিয়েছেন এই শিল্পী।
Advertisement
গত ৬ অক্টোবর বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন সালমা। গতকাল ৭ অক্টোবর আরও ৩ হাজার মানুষকে সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সে প্রসঙ্গে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখে আমি আর বসে থাকতে পারিনি। সামর্থ্যমতো মানুষের সাহায্যে এগিয়ে গেছি। আমার আসলে সামর্থ্য খুব একটা নেই। আমি অনেক সম্পদশালী হলে ব্যাপক আকারে মানুষকে সহায্য করতাম। কেউ যদি এই বন্যার্ত মানুষকে সাহায্য করার জন্য আমার সঙ্গে কাজ করতে চান, তাকে স্বাগত জানাবো। দেশের মানুষকে অনুরোধ করব, আপনারাও আপনাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসুন।’
ময়মনসিংহের কোন অংশের অবস্থা বেশি খারাপ? সেটা জানতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন সালমা। তিনি জানান, নিজের শিশুকন্যা সাফিয়ার নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গড়েছেন সালমা। ২০১৮ সালে চালু করার পর থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষকে সাহায্য করছে সংস্থাটি। এ কাজে সালমাকে সহযোগিতা করছেন তার স্বামী ব্যারিস্টার সানাউল্লাহ নূর সাগর। সালমা বলেন, ‘সাফিয়া ফাউন্ডেশন আজও (৭ অক্টোবর) ৩ হাজার মানুষের জন্য খাবার, সুপেয় পানি নিয়ে গেছে।’
ময়মনসিংহ ও শেরপুর অঞ্চলে বন্যা শুরু হলে সালমা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমার শ্বশুরবাড়ি সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, নালিতাবাড়ী ও আশপাশের অঞ্চলগুলো ভয়াবহ বন্যার দিকে যাচ্ছে। ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা বৃষ্টির কারণে এই বিপর্যয়। দেশের সবচেয়ে অনুন্নত, নিরীহ, নিন্মবিত্ত মানুষের বাস আমাদের এই অঞ্চলে। বন্যা মোকাবেলা করার শক্তি আমাদের নেই। হে রব! আমাদের রক্ষা করুন! আপনি ছাড়া রক্ষা করার সাধ্য কারো নাই। আপনি ত্রাণকর্তা, সর্বশক্তিমান, পরম দয়ালু, দয়াময়!’
Advertisement
এমএমএফ/আরএমডি/জেআইএম