কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুকে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়েছে কমিশন। আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে মামলার অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (৭ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নিজ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় একজন ইউপি চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। নিজ কার্যালয়েও নিরাপদে থাকতে না পারলে মানুষজনের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেবে। এতে দাপ্তরিক কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করতে পারে। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এ ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুনকুষ্টিয়ায় ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা তিন চিকিৎসককে মারধর: তদন্তের নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনেরপ্রকাশিত সংবাদের বরাতে সুয়োমোটো উল্লেখ করা হয় যে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুকে একাধিক গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউপি কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় নঈম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। মাত্র ৫ মিনিটে তাকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। সন্ত্রাসীরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে ওই কার্যালয় ঘিরে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও সিরাজনগর গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন। ঘটনার সময় তিনি চেয়ারম্যানের কক্ষেই উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
কমিশন আরও জানায়, সংবাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে কমিশন থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি জানান যে, এরই মধ্যে এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
এ অবস্থায়, ইউপি চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও তদন্ত কার্যক্রমের সর্বশেষ অগ্রগতি আগামী ১২ নভেম্বর মধ্যে কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এফএইচ/কেএসআর
Advertisement