হাসপাতালে ঢুকে তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ নির্দেশ দেয়।
এতে বলা হয়, গত ২ অক্টোবর দুপুরে ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়েন। তারা সেখানে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চন্দন দাসকে জোর করে বের করে মারধর শুরু করেন। তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন ডা. তনুশ্রী ডাকুয়া ও ডা. রেজোয়ানা মেহজাবিন বন্যা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীরা তাদেরও মারধর করেন।
চিকিৎসকদের কর্মস্থল ও রোগাক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের স্থান হাসপাতালে প্রবেশ করে চিকিৎসকদের ওপর এমন হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন উল্লেখ করে স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
Advertisement
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুফতি কামাল হোসেনকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের মধ্যে মুফতি কামালের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ওষুধ কোম্পানির কর্মীও রয়েছেন।
হাসপাতালের মতো একটি স্পর্শকাতর স্থানে কর্মরত চিকিৎসকদের প্রহার করা তাদের মর্যাদার ওপর চরম আঘাত। একই সঙ্গে চিকিৎসারত রোগীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থায় থাকার অধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
এ অবস্থায়, বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী বাগেরহাটের পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশের অনুলিপি বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জনকে পাঠানো হয়েছে।
এফএইচ/কেএসআর
Advertisement