প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো উন্নয়ন দর্শন এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন রাজধানীতে আয়োজিত এক কর্মশালায় আগত বক্তারা। তারা আরও বলেন, এসডিজি ১৭ এর সফল বাস্তবায়ন অন্য সব লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনের ক্ষেত্রে সক্রিয় ও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
Advertisement
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর এন ই সি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রিভিউ প্রোগ্রেস অ্যান্ড স্টেনদেনিং পার্টনারশিপ ফর এসডিজি-১৭ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প (এসএসজিপি)-এর সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ এবং বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পাওটিয়াইনেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।
Advertisement
কর্মশালায় বক্তব্য প্রদানকালে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ বলেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রণীত ‘থ্রি জিরো’ ভিত্তিক দারিদ্রমুক্ত, বেকারত্বমুক্ত ও কার্বন নিঃসরণমুক্ত উন্নয়ন দর্শন টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বের কাছে ‘থ্রি জিরো’ ভিত্তিক উন্নয়ন দর্শনের একটি উদাহরণ হতে পারে।
লামিয়া মোরশেদ আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে উক্ত লক্ষ্য অর্জনে কাজ শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন ১২ সদস্যের একটি কমিটি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার লক্ষ্যে একটি শ্বেতপত্র প্রণয়নের কাজ করছে।
Advertisement
উক্ত শ্বেতপত্রের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সুপারিশ পাওয়া যাবে বলে জানান লামিয়া মোরশেদ।
ইআরডি সচিব শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে এসডিজি ১৭ এর মূল সমন্বয়ক হিসেবে ইআরডি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের সাথে কার্যকর ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের যেমন একদিকে কিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হবে তেমনি অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বারও খুলে দেবে।
এমওএস/এমআইএইচএস/এমএস